মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে শুশুকটি ধরা পড়ে।
স্থানীয় জেলে বৈরাগী হলদার বলেন, ‘আমরা কয়েকজন নদীতে মাছ ধরতে যাই। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে নদীর বিভিন্ন স্থানে জাল ফেলি। বেশ কয়েকবার জাল ফেলার পর কোন মাছ পাওয়া যায়নি। বিকেল ৩ টার দিকে জাল তোলার সময় জালে কয়েকটি ঝাঁকুনি দেয়। তখন বুঝতে পারি জালে বড় কিছু আটকা পড়েছে। জাল তুলে দেখি, একটি বড় আকৃতির শুশুক আটকা পড়েছে। পরে ওজন দিয়ে দেখা যায়, শুশুকটির ওজন ৪০ কেজি।’
আরও পড়ুন: পদ্মায় বালুখেকোদের রাজত্ব, ভাঙনে নিঃস্ব হাজারো পরিবার
তারা আরও বলেন, ‘শুশুক খাদ্য হিসাবে মানুষ ক্রয় করেনা। তবে শুশুকের তেল দিয়ে নদী থেকে অন্যান্য মাছ শিকার করা হয়। শুশুক ধরার খবর পেয়ে এক সৌখিন মাছ শিকারি শুশুকটি নেয়ার জন্য আসছেন। দাম-দরের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হয়নি। তবে দুই থেকে তিন হাজার টাকা হলেই শুশুকটি ওই মাছ শিকারিকে দিয়ে দেব।’
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘শুশুক পদ্মা নদীতে সচারচর দেখা যায় না। হয়তো দল থেকে বিছিন্ন হয়ে পদ্মা নদীতে চলে এসেছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের মধ্যে শুশুক অন্তর্ভুক্ত। এটি ধরা, পরিবহন ও বিক্রি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করছি।’
]]>