পদ্মার চরে বজ্রপাতে ১১ মহিষের মৃত্যু

১ দিন আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাত ঘটে দুই কৃষকের বাথানের ১১টি মহিষ মারা গেছে। শনিবার (২ আগস্ট) দিনগত রাতে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার-খারিজারথাক মাঠের পদ্মার চরে বজ্রপাতে মহিষ মারা যাওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

চিলমারী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. নুরুজ্জামান জানান, পদ্মার উত্তরপাড় এলাকার পদ্মারচরে মহিষের বাথান নিয়ে সেখানে মহিষের রাখালরা অবস্থান করছিল। শনিবার দিনগত রাতে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাত ঘটে। বজ্রপাতে বাংলাবাজার-খারিজারথাক এলাকার কৃষক ও মহিষের বাথান মালিক নবীর উদ্দিনের ১০টি মহিষ এবং এলাহী ঢালির ১টি মহিষ মারা যায়। 


উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, বাংলাবাজার এলাকার নওয়াজ উদ্দিনের ছেলে নবীর উদ্দিনের ১০টি মহিষ এবং একই এলাকার মৃত হোসেন ঢালির ছেলে এলাহী ঢালির ১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে। এসময় মহিষগুলো নদীর পাড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয়ে ছিল। 

আরও পড়ুন: পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, লাখ টাকা জরিমানা

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের দুই কৃষকের ১১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে। এরমধ্যে নবীর উদ্দিনের সবগুলো মহিষই মারা গেছে। মহিষ মালিক এলাহী ঢালি জানান, নবীর উদ্দিন আমার ফুপাতো ভাই। তার ১০টি মহিষ ও আমার একটি মহিষ মারা গেছে। আমাদের বাথানে প্রায় ৩০০টি মহিষ আছে, মহিষগুলোর মালিক ২২ জন। আমাদের দু’জনের মারা যাওয়া ১১টি মহিষ, যা ২৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতগুলো মহিষ পুতে রাখা সম্ভব না হওয়ায় আমরা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছি। সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করলে আমরা উপকৃত হতাম।’ 


এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহামুদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জেনেছি। দুই কৃষকের ১১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে। এগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ থেকে ২৪ লাখ টাকা।’ 


এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ‘মহিষ মারা যাওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা বা বরাদ্দ এলে তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন