সোমবার (২১ জুলাই) সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পাঠানো এক চিঠিতে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
চিঠিতে জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগ দিতেই এ সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
৭৪ বছর বয়সি জগদীপ ধনখড় জানান, তার মেয়াদকালে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ও সমর্থন পেয়েছেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছেন। তিনি ভারতের অসাধারণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছেন। এই উন্নয়নে যোগদান করতে পেরে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড /নার্স প্রিয়াকে বাঁচাতে ‘সম্ভাব্য সব কিছু’ করছে ভারত
জগদীপ ধনখড় রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার কিথানা গ্রামে ১৯৫১ সালের ১৮ মে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চিত্তরগড়ের সৈনিক স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৯ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে রাজনীতিতে পা দেন। সেই বছর রাজস্থানের ঝুনঝুনু লোকসভা কেন্দ্র থেকে জনতা দলের প্রার্থী হয়ে লড়েন, জেতেনও। ১৯৯০ সালে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হন। পরে বিধানসভা নির্বাচনেও লড়ে জেতেন। ২০০৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেন।
ধনখড়ের হঠাৎ ইস্তফা দেয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, সোমবারও রাজ্যসভায় অধিবেশন পরিচালনা করেন ধনখড়। রাতে ইস্তফার কথা জানান তিনি।