পণ্যের দাম বাড়ার জন্য ক্রেতাদের দুষলেন ব্যবসায়ীরা!

২ সপ্তাহ আগে
অস্থির দেশের নিত্যপণ্যের বাজার। তবে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতারা নিজেরাই পণের দাম বাড়ানোর জন্য দায়ী বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

দেশের বাজারে হঠাৎই কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ে; কিন্তু কমানোর ক্ষত্রে গড়িমসি করেন ব্যবসায়ীরা। এ যেমন -- দীর্ঘদিন আলুর দাম কম থাকার পর ভরা মৌসুমে দাম গিয়ে ঠেকেছে হাফ সেঞ্চুরিতে। অভিযোগ: কোল্ড স্টোরে বেশি মজুত করে ছাড়ছেন কম তাতেই চড়েছে বাজার।

 

রোজায় ১৩০ টাকা ছুঁয়েছিল এককেজি খেসারি ডালের দাম। তবে বর্তমান বাজারের বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। কেননা কেজি নেমেছে সেঞ্চুরিতে। ঢাকাস্থ মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি বলছে, উৎসব আসলে বেশি ক্রয়ের প্রবণাতা বাড়ে। ঠিক এই পরিস্থতির সুযোগ নেয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

 

মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. বসির উদ্দিন বলেন,

পণ্যের দাম বাড়ে ক্রেতার কারণেও। দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করলেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনে মজুত করতে থাকেন ভোক্তারা। যা বাজারে সরবরাহ সংকট তৈরি করে। এতে দাম আরও বাড়ে।

 

এদিকে ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) বলছে, ডলারের দামের তারতম্যের কারণে আমদানি নির্ভর পণ্য সব সময় দাম বেশি। তবে এখন বাজারে সরবরাহ বেশি, যার জন্য কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন পণ্যের দাম।

 

এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হাজী মো. আব্দুল হাসেম বলেন, বাজারে সরবরাহ বাড়ছে; এতে কমছে পণ্যের দাম।

 

ভোক্তাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানোর জন্য সংকট তৈরি করে কিছু ব্যবসায়ী। তারা যেন আমদানি করা এবং দেশীয় পণ্য মজুত করে মনগড়া দাম নির্ধারণ করতে না পারে তার দিকে নজর দেয়া জরুরি।

 

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আসায় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এতে বাড়ে দাম। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে নজর দিতে হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন