রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকারিয়া মারা যান। এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
নিহত জাকারিয়া পটুয়াখালী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দুমকি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের আঠারোগাছিয়া গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মা হোসনেয়ারা বেগমের একমাত্র ছেলে ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহ পটুয়াখালী জেলা শাখার সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে আইনজীবীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম
মা হোসনেয়ারা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “টাকার বিনিময় হলেও আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দেন। মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে আমার ছেলেটা বারান্দার বেড থেকে বলছিল, ‘আমারে নিচে নামাইয়া দাও।’ কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল।
বাবা জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর কোনো চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়নি। ভালো ডাক্তার পর্যন্ত পাইনি। নার্সদের কাছে বারবার অনুরোধ করলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। আমার ছেলে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। মৃত্যুর পর শেষবারের মতো লাশ বহনের ট্রলি চেয়েছিলাম, সেটিও হাসপাতাল দেয়নি।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই নিহত
এ বিষয়ে দায়িত্বরত নার্সদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
]]>