রোববার (১৬ নভেম্বর) মির্জাগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বশির আলম নিজে বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বশির আলম উল্লেখ করেছেন, ঘটনার আগে অভিযুক্তরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে ‘চিরতরে শেষ করে দেয়া হবে’ বলে হুমকি দেয়া হয়। এরপর গত ১২ নভেম্বর রাতে সুবিদখালী বাজারের নান্নু মার্কেটের সামনে তার ওপর হামলা চালানো হয়।
হামলাকারীরা তার মাথা, শরীর ও মুখে আঘাত করে। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, সাইফুল প্রথমে একটি চেয়ার দিয়ে বশির আলমকে আঘাত করেন। এরপর আরও ৭–৮ জন এসে মারধর শুরু করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার, চলাচল শুরু
কিল-ঘুষি ও লাথিতে গুরুতর আহত হন বশির। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সাইফুল এর আগে মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বাশার মোকলেছ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা এবং তিনি এ ঘটনায় জড়িত নয়।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এজহার গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। চিকিৎসাধীন বশির আলম জানিয়েছেন, একাধিকবার থানায় হুমকির বিষয়টি জানিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি ন্যায়বিচার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ৬০ হাজার ইয়াবাসহ যুবক আটক
]]>
১ সপ্তাহে আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·