সন্ধ্যায় বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরার সময় ১০ জেলেকে আটক করা হয়। এরমধ্যে পাঁচজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাকি পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুজর মো. এজাজুল হক দুইজনকে সাজা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে বর্ষসেরা পটুয়াখালীর দুমকী
দুমকীতে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী গ্রামের আ. সোবাহান হাং (৫৫) এবং আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটরা গ্রামের সোহরাপ মৃধা (৫২)। এ সময় কাইয়ুম (১৪) নামে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক জেলেকে সতর্ক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
দুমকী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আঙ্গারিয়া ও পাতাবুনিয়া এলাকার পায়রা নদীতে অভিযান চালিয়ে নৌকা ও জালসহ তাদের আটক করা হয়। পরে ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
দুমকী থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জেলেকে পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
এদিকে, বাউফল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. এম এম পারভেজ বলেন, ‘আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় যাতে কোনো অসাধু জেলে নদীতে মাছ ধরতে না পারে, সেজন্য আমাদের তৎপরতা থাকবে আগামী ২৫ এ অক্টোবর পর্যন্ত।’
আরও পড়ুন: মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে হামলায় আহত ৪, আটক ৭
৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর এ ২২ দিন ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে সমুদ্র এবং নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করেছে সরকার। এই ২২ দিন সকাল সন্ধ্যা অভিযান পরিচালনা করছে মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসন। এ বিশেষ অভিযানে ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন এবং সংরক্ষণ নিষিদ্ধ থাকবে।
পটুয়াখালীতে এক লাখের বেশি জেলে থাকলেও নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৮০ হাজার ২০ জন। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে এই ২২ দিনে ২৫ কেজি করে সরকারি ভিজিএফের সাহায্য পেতে যাচ্ছে ৬৭ হাজারের বেশি জেলে।