মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আদম সুফি।
এর আগে সোমবার (৫ মে) অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করলে বিচারক এসএম শফিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আদেশ দেন।
নিহত আব্দুর রশিদ আরেফিন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
এ মামলায় আসামি করা হয়েছে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম ও কনক কুমার দাস, সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা, বর্তমান রেলপথ মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম সুজন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান ও নাঈমুজ্জামান মুক্তা।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাউদ, সম্পাদক বাবু
এছাড়া কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের মোট ১৫৪ জন নেতাকর্মীকে এবং আরও ৭০০-৮০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের নেতৃত্বে এবং তৎকালীন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় রাবার বুলেট ছোড়া হয় এবং বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনকে মারধর করা হয়।
পরে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দলের নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই পরিবারের দাবি ছিল, আরেফিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পিপি মো. আদম সুফি বলেন, ‘তৎকালীন সরকারের আইনি প্রতিকূলতার কারণে বাদী মামলা করতে পারেননি। এখন মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আদালত তা এজাহারভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
]]>