চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে পানি কমেছে ৬ সেন্টিমিটার। সকাল ৯ টায় শিবগঞ্জে পদ্মা নদীর পাঙ্খা পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ২১ দশমিক ০৫ মিটার। সন্ধ্যার মধ্যে ৬ সেন্টিমিটার কমে পানির সমতল হয় ২১মিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পানি বৃদ্ধি হতে শুরু হয় পদ্মা নদীতে। ৯ দিনে (শুক্রবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত) পানির সমতল বৃদ্ধি পায় ৫২ সেন্টিমিটার। তবে সকাল ৯ টার পর থেকেই পানি কমতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: ২৫ উপজেলায় উচ্চ পানি সংকট, যে পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা
এদিকে, স্থিথিশীল রয়েছে মহানন্দা ও পুর্নভবা নদীর পানি। শুক্রবার সকাল ৯টায় মহানন্দা নদীর খালঘাট পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৯ দশমিক ২২ মিটার। পুনর্ভবা নদীর রহনপুর পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল ছিল ১৯ দশমিক ৩০ মিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব সময় সংবাদকে জানান, টানা কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ছিল। ভারতে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন নদীতে পানি বৃদ্ধি হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারো কমতে শুরু করেছে। আগামী কয়েকদিন পানি অব্যাহতভাবে কমবে। এতে নদী তীরবর্তী যে সকল অঞ্চল ও চর প্লাবিত হয়েছিল, সেখান থেকে পানি নামতে শুরু করবে।
এদিকে, গত মাসের প্রথম সপ্তাহে পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। ১১ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। পানির নিচে তলিয়ে যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলার প্রায় ২ হাজার হেক্টর ফসলী জমি। বন্ধ করে দেয়া হয় অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: সড়কে পড়ে ছিল গাছ: রামদা হাতে, মুখে কাপড় বেঁধে এগিয়ে এলো ডাকাতেরা!
উল্লেখ্য, পদ্মা নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২২.০৫, মহানন্দার ২০.৫৫ ও পুনর্ভবার ২১.৫৫ মিটার। চলতি বছরের ১৩ ও ১৪ আগস্ট পদ্মা নদীতে সর্বোচ্চ পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ৭৩ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।