নড়াইলে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

৩ সপ্তাহ আগে ১১
নড়াইলের লোহাগড়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে খাজা মোল্যা (৩৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।


নিহত খাজা মোল্যা ইতনা ইউনিয়নের পার-ইছাখালি গ্রামের লবা মোল্যার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারের জেরে ইউপি সদস্য (মেম্বার) শাহাদুল শেখের সঙ্গে ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ শেখের বিরোধ চলে আসছিল। খাজা মোল্যা স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাদুল সমর্থিত হওয়ায় পলাশ সমর্থিত লোকজন কয়েক দফায় প্রতিপক্ষ শাহাদুল সমর্থিত লোকজনের জমির ফসলসহ গাছপালা কেটে নিয়ে যায়।
 

বুধবার সকালে খাজা মোল্যা কুমারডাঙ্গা বাজারে যান। সেখানে রবিউলের দোকানে বসে থাকাবস্থায় প্রতিপক্ষের ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসহ খাজা মোল্যাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


নিহতের মেজো বোন রেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, পলাশসহ তার লোকজন এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ও নাশকতা মামলা দিয়ে লোকজনকে হয়রানি করছে এবং জমির ফসল ও গাছ কেটে নিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: সারা শরীর ঝলসানো, গলায় রশি পেঁচানো: শিশু রোজাকে নৃশংসভাবে হত্যা করল কারা?


তিনি বলেন, ‘বুধবার সকালে কুমারডাঙ্গা বাজারে চা খেতে গেলে পলাশের নেতৃত্বে এসকেন্দার, রবিউল, শরিফুলসহ তার লোকজন আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
 

তবে ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ শেখ অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘রাত ১২টার পর লোহাগড়া থেকে বাড়ি ফিরে ঘুমাই। সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় খবর পাই বাজারে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার লোকজন কেউ জড়িত নয়৷ ষড়যন্ত্রমূলক আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’


এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত করে হত্যার প্রকৃত কারণ জানানো যাবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন