রোববার (১৮ মে) দুপুরে ঢাকা থেকে কালিয়া যাওয়ার পথে উপজেলার যোগানিয়া এলাকায় পৌঁছালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
কালিয়া উপজেলা বিএনপির সূত্র জানায়, কালিয়ার বেন্দারচর এলাকায় ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নিতে ঢাকা থেকে সড়ক পথে দুপুরের দিকে চাপাইল ব্রিজ এলাকায় পৌঁছান বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট। সেখানে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বরণ করে গাড়ি বহর নিয়ে রওনা করেন। পথিমধ্যে যোগানিয়া এলাকায় পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হন। বিএনপি নেতার ব্যবহৃত গাড়ি সহ ৪০টি মোটর সাইকেল ভাঙচুরসহ একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আহত বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাটকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর বিকেলে উপজেলা বিএনটি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ইউসুফ তার বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার জন্য বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও আমেরিকা বিএনপির সভাপতি কালিয়া আসার পথে জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের নির্দেশে তার ভাইসহ সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের কাছে বিনীত আহ্বান দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী জেলা বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে যেন দলকে বাঁচান। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন হয়।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, বাড়িঘর ভাঙচুর
জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সময় সংবাদকে বলেন, শনিবার খুলনায় বড় প্রোগ্রাম সেরে আমি ও আমার ভাইয়েরা ঢাকায় চলে আসি। দুপুরে ঘুম থেকে ওঠার পর শুনতে পারি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার নেতৃত্ব দেয়া তো দূরের কথা, আমি বা আমার ভাইয়েরা কেউই জড়িত নই। এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির এই নেতা।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র পরিদর্শক মীর শরিফুল হক সময় সংবাদকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রযেছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল অব্যাহত আছে।