এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। রোববার (৩ আগস্ট) দ্বিতীয় দফায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগপত্রে আনিত অভিযোগ তদন্তে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দুই সদস্য বিশিষ্ট দল উপজেলার মহাজন বাজারে যান।
তদন্ত দল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার মহাজন বাজার এলাকায় অভিযোগকারী বিএডিসি অনুমোদিত সার ও বীজ ডিলার শেখ জামিল আহম্মেদের দোকান পরিদর্শন করেন এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দলের নেতৃত্বে ছিলেন: জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ অফিসার সৌমিত্র সরকার। সহযোগী হিসেবে ছিলেন একই কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) ঋতুরাজ সরকার, তবে কমিটির অন্যতম সদস্য একই কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো. জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস তদন্ত দলের সঙ্গে ছিলেন না।
আরও পড়ুন: কৃষকের টাকা কোথায় জানতেই কৃষি কর্মকর্তা বললেন,‘প্রকল্প থেকে এদিক-ওদিক করতেই হয়'
অভিযোগ দাখিলের এক মাস পাঁচ দিন পর ফের তদন্তের কারণ জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ অফিসার সৌমিত্র সরকার সময় সংবাদকে বলেন, ‘এটি একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত। আগের তদন্ত দল খুলনা থেকে এসেছিল। জেলা প্রশাসক তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। উপপরিচালক ২২ জুন আমাকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আমার দাফতরিক পরীক্ষার কারণে আবেদন করে সেটাকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিলের অনুমতি পাই, সেটার তদন্তে ঘটনাস্থলে যাই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো।’
এর আগে গত ২৮ জুন নড়াইলের কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিকের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি, হেনস্তা এবং ডিলারশিপ বাতিলের হুমকি দেয়ার অভিযোগ করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগও করেন উপজেলার মহাজন বাজারের বিএডিসি অনুমোদিত সার বীজ ডিলার শেখ জামিল আহম্মেদ। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর প্রথম দফায় মঙ্গলবার (১ জুলাই) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তে খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তিন সদস্য বিশিষ্ট দল কালিয়ায় যান।
আরও পড়ুন: কৃষি কর্মকর্তার ‘ঘুষ’ দাবির খবরে নড়াইলে তদন্ত দল
এরপর অভিযুক্ত কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত উপজেলার ১৪টি কৃষকদের পার্টনার ফিল্ড স্কুলগুলোতে চরম অব্যবস্থাপনাসহ কৃষকদের সেশনের প্রাপ্য নাস্তা ও সম্মানী বাবদ পাওনা টাকা নিয়ে নয়-ছয়ের অভিযোগ ওঠে।
আর গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ওই কর্মকর্তার অনিয়মের স্পষ্ট প্রমাণসহ সময় সংবাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। রাতারাতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিকের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার খবর প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয় তার অনিয়মের বিভিন্ন বক্তব্য, আর জন্ম দেয় তীব্র সমালোচনার।
এর আগে, গত ৭ জুলাই দুদকে ওই কর্মকর্তার ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ এনে স্থানীয় এক সার ও বীজ ডিলার অভিযোগপত্র দেন।
]]>