আল জাজিরার সাথে একান্ত সাক্ষাত্কারে এসব কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র ওবায়েদ আরনাউত। তিনি বলেন, ‘নতুন যুগের’ সূচনা করার সাথে সাথে নতুন সরকারের মিশনের একটি মূল অংশ হল আইনের শাসন এবং দেশের বিচার ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা।
তিনি বলেন, এটি তখনই ঘটতে পারে যখন আল-আসাদের কুখ্যাত কারাগারে যারা কয়েক হাজার সিরিয়ানকে আটক ও নির্যাতন করেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন:‘সিরিয়া বিশ্বের জন্য হুমকি নয়’, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান
আরনাউত বলেন, ‘অপরাধীদের জবাবদিহি করার মাধ্যমে, আমরা আমাদের সমাজের গভীর ক্ষতগুলো নিরাময় করতে এবং ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করতে কাজ করছি।’
এছাড়া সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার। যে কর্মীরা দুর্নীতি অথবা অপরাধ করেছে এবং সিরিয়ার জনগণের ক্ষতি করেছে তাদের বরখাস্ত করা হবে এবং জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।’
তাদের বদলে যারা নিবেদিত, পেশাদার এবং দেশের প্রতি অনুগত তাদের প্রাধান্য দেবে সিরিয়ার নতুন শাসকরা।
‘চাকরীর শূন্যপদগুলো সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সবাই আবেদন করতে পারবে। সিরিয়াকে নতুন করে গড়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে’ - জানান মুখপাত্র।
আরও পড়ুন:১২ বছর পর দামেস্কে পতাকা উড়ালো ফ্রান্স
গত সপ্তাহে সিরিয়ায় অভিযান চালিয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাত করার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয় সিরিয়ায়।
]]>