সোমবার (১৯ মে) রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার একটি হোটেল থেকে ৩৮ তরুণকে উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। এ সময় প্রতারক চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নৌবাহিনী জানায়, আটক ব্যক্তিরা চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রত্যেক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৮ থেকে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি করে। শুধু তাই নয়, নেয়া হয় ব্ল্যাংক চেক ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর।
চাকরিপ্রত্যাশীদের নিয়ে সাজানো হয় ভুয়া মেডিকেল পরীক্ষা ও নিয়োগের প্রশ্নপত্র। এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল একই হোটেল কক্ষে। অভিযানকালে জব্দ করা হয় নিয়োগ সংক্রান্ত ভুয়া প্রশ্নপত্র, চোখের পরীক্ষার সরঞ্জাম, মোবাইল ফোনসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইস।
নৌবাহিনীর বানৌজা তিতুমীর ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সামিউর রহমান বলেন, চক্রটি অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন জেলায় প্রতারণা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আমরা তাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীর দুই পলাতক আসামি চট্টগ্রামে গ্রেফতার
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর নাবিক পদে নিয়োগের মৌসুমে তারা এ ধরনের প্রতারণা করে থাকে। গ্রামের সহজ-সরল তরুণদের তারা ‘উচ্চপর্যায়ের চেনাজানা’ ও ‘ভেতরের যোগাযোগের কথা বলে ফাঁদে ফেলে। আটক ৯ জনের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। চাকরিপ্রত্যাশীদের যাচাই-বাছাই শেষে পরিবারের জিম্মায় তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।’
সাধারণ মানুষকে এ ধরনের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সামিউর রহমান।
]]>