মঙ্গলবার( ২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী দূর্নীতি কমিশনের উপসহকারী পরিচালক মো. জাহেদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদকের দায়ের করা এজাহারে দেখা যায়, মিজানুর রহমান চেয়ারম্যান থাকাকালীন (২০১১-২০২১) বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১,০৪,৬০,৩২১ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ২০০৯-১০ করবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত তার মোট আয় ছিল ১,২৫,৬৩,৯১৫ টাকা এবং মোট ব্যয় ছিল ১৭,২৯,৬৯৪ টাকা। একই সময়ে তার অর্জিত মোট সম্পদ ছিল ২,৬৫,০৫,২১৮ টাকা, যার বিপরীতে ৫২,১০,৬৭৬ টাকা ঋণ ছিল। সব মিলিয়ে তার মোট সম্পদ (ব্যয় সহ) ছিল ২,৩০,২৪,২৩৬ টাকা। তার মোট আয় থেকে এই অর্জিত সম্পদের হিসাব বাদ দিলে ১,০৪,৬০,৩২১ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ বা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
অভিযোগে বলা হয়েছে, এই সম্পদ তিনি স্বেচ্ছায় নিজের নামে স্থানান্তর, রূপান্তর বা হস্তান্তর করে ভোগদখল করেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদক সূত্রে জানায়, সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগ আরেকটি এজাহারে বলা হয়েছে, মো. মিজানুর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন, কারণ তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
দুদকের নোয়াখালী কার্যালয় থেকে গত ১৭ মার্চ, ২০২৫ তারিখে একটি সম্পদ বিবরণী ফরম মিজানুর রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বাড়িতে না থাকায় তার ছোট ভাই নোমান সেই ফরম গ্রহণ করেন এবং এতে স্বাক্ষর করেন। এই সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য ২১ কার্যদিবস সময় নির্ধারিত ছিল, যা গত ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে শেষ হয়ে যায়। তবে, তিনি এই সময়ের মধ্যে কোনো সম্পদ বিবরণী জমা দেননি বা সময় বাড়ানোর জন্য আবেদনও করেননি। এই কারণে তার বিরুদ্ধে নন-সাবমিশন মামলা রুজু করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিলো শিবির
অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের পক্ষ থেকে দুটি মামলাই তদন্তের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে। তদন্ত চলাকালে যদি অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা বা নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তবে তাও আইনের আওতায় আনা হবে।