নোবিপ্রবিতে নোনা টেংরা ও কাঁকড়া চাষ উপ-প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

৩ সপ্তাহ আগে
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) খাঁচায় নোনা টেংরা চাষ এবং সম্পূরক খাদ্য ও হ্যাচারির পোনা দিয়ে কাঁকড়া চাষ উপ-প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অন কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।


কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘আমরা যারা গবেষণা করি আমরা মূলত মানুষকে কর্মক্ষম করার জন্য এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্যই কাজ করি। আমাদের গবেষণাগুলো যেন শুধুমাত্র পেটেন্ট এবং পাবলিকেশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। গবেষণার কাজগুলো যদি সমাজে ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে তবেই আমাদের সার্থকতা। আমরা গবেষণাগুলোকে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারলে সহজেই তার ইমপ্যাক্ট পাওয়া সম্ভব।’


তিনি আরও বলেন, ‘টেংরা এবং কাঁকড়ার মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। আমাদের  বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা ইমপ্যাক্টফুল বিষয় হলো আমরা কাঁকড়া চাষের জন্য একটা নির্দিষ্ট ফিড উদ্ভব করেছি। আমি বিশ্বাস করি তরুণ প্রজন্ম আরও বেশি গবেষণামূলক কাজ করবে। আমাদের অর্জিত জ্ঞান যদি আমরা নতুন নতুন উদ্ভাবনে প্রয়োগ করতে পারি এবং তা যদি সমাজের মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে তবেই আমাদের সার্থকতা।’


আরও পড়ুন: দেশীয় জাত সংরক্ষণে প্রাণিসম্পদ গবেষণা বাড়াতে হবে: উপদেষ্টা ফরিদা


বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স (ফিম্স) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ, রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা  ইকবাল হোসেন, মৎস্য অধিদফতরের সাসটেইনেবল কোস্টাল মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ শরিফুল আযম ও মিজানুর রহমান।


নোবিপ্রবি ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেন খাঁচায় নোনা টেংরা চাষ প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাকেব-উল-ইসলাম এবং সম্পূরক খাদ্য ও হ্যাচারির পোনা দিয়ে কাঁকড়া চাষ প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুন।


নোবিপ্রবি ফিম্স বিভাগের এ গবেষণা মৎস্য ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করেন গবেষকরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন