বুধবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫ আগস্ট আমরা ঐকমত্যের একটি জায়গায় চলে এসেছিলাম, কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আজকের বৈঠকে কয়েকটি দল তাদের পূর্বের মত পরিবর্তন করেছে।’
জুলাই সনদের টেকসই রূপ এবং সংবিধান সংস্কার
‘জুলাই সনদ’-কে একটি কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তি দিতে এর আইনি বাধ্যবাধকতা এবং টেকসই হওয়ার ওপর জোর দেন সাকি। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হলে পরবর্তী আইনসভাকে সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়নের ক্ষমতা দিতে হবে।’
এই ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য তিনি একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেন: এ ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই একটি আদেশ বা অধ্যাদেশে স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট চাইলেন সাইফুল হক ও সাকি
নোট অব ডিসেন্টের মীমাংসা গণভোটের মাধ্যমে করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘নোট অব ডিসেন্টের মীমাংসা গণভোটে করতে গেলে দেশে আরও বেশি অনৈক্য তৈরি হবে।’ তবে প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য একটি বিকল্প প্রস্তাবও তিনি দেন। সাকি বলেন, ‘নির্বাচনের দিনই একইসঙ্গে গণভোট করা যেতে পারে,’ যা কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জোর আহ্বান জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমি সবাইকে মতভেদ ভুলে আবারও ঐকমত্যে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’