নোংরা আবর্জনায় ভরে গেছে সৈয়দপুর পৌরসভা, ডাম্পিং জোন নেই ১৫ ওয়ার্ডেই

২ সপ্তাহ আগে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, মহল্লা কিংবা শহরের প্রধান সড়ক সবখানেই যত্রতত্র জমে আছে আবর্জনার স্তূপ। নির্ধারিত ডাম্পিং জোন না থাকায় নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা এখন রীতিমতো এক ‘আবর্জনার শহর’। বছর জুড়ে অনিয়মিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ডাস্টবিনের অভাব ও পৌরসভার অদক্ষতায় পরিবেশ দূষণ চরমে উঠেছে।

নির্ধারিত কোনো বর্জ্য ফেলার স্থান না থাকায় শহরের অলিগলি, বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে জমে আছে গলিত-পচা দুর্গন্ধময় আবর্জনা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সৈয়দপুর পৌরসভায় ১৫টি ওয়ার্ড থাকলেও কোথাও নেই একটি ডাস্টবিনও। ফলে ঘরের বর্জ্য থেকে শুরু করে বাজারের ময়লা সবই ফেলা হচ্ছে রাস্তার ধারে বা ফাঁকা জায়গায়।

 

শহরের প্রধান সড়ক, শপিং এলাকা, বাসাবাড়ির সামনে এমনকি স্কুলে যাওয়ার পথে জমে থাকা আবর্জনায় অতিষ্ঠ মানুষজন। স্থানীয় স্কুলছাত্রী আফরোজা খানম ও রোকাইয়া বেগম বলেন, ‘স্কুলে যাওয়ার পথে বর্জ্যের স্তুপ এক সপ্তাহ ধরে পড়ে থাকে। নাক চেপেও চলা যায় না।’

 

গৃহিণী রাহেলা খাতুন বলেন, ‘বাড়ির দরজা-জানালা খোলা যায় না। একটু বাতাস হলেই ঘরে ঢুকে পড়ে দুর্গন্ধ। পচা ময়লা আমাদের নিত্যসঙ্গী।’

 

সৈয়দপুরের পরিচিতি এক সময়কার বাণিজ্যিক ও রেলশহর হিসেবে। রেলওয়ে কারখানাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ৩৪ বর্গকিলোমিটার এলাকার পৌর শহরে বর্তমানে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের বসবাস। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত শহরটি বর্তমানে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও ময়লা-আবর্জনার শহর হিসেবে বদনাম ঘোচেনি এখনো।

 

আরও পড়ুন: সৈয়দপুরে গৃহকর্মী খুন করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

 

বছরের পর বছর ধরে অনির্ধারিত স্থানেই পৌরসভার সমস্ত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে তৈরি হয়েছে বিশাল আকারের ‘আবর্জনার পাহাড়’। এতে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে, বাড়ছে পশু-পাখির উপদ্রব, আর পৌরবাসী পড়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।

 

সৈয়দপুর পৌরসভার কনজারভেন্সি পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পৌরবাসীর অসচেতনতা বর্জ্য জমে থাকার অন্যতম কারণ। তাছাড়া জনবল ও যানবাহনের সংকট রয়েছে।’

 

পৌর প্রশাসক নুরে আলম সিদ্দিকি বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট ডাম্পিং জোন তৈরির চেষ্টা করছি। কিন্তু শহরে জমির দাম বেশি, সরকারি জমিও মিলছে না।’

 

জানা গেছে, সৈয়দপুর পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৫৫ টন বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। ডাস্টবিন না থাকায় এসব বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন