নেপালে একাধিক গণমাধ্যমে হামলা-ভাঙচুর, শান্ত হওয়ার আহ্বান কাঠমান্ডু মেয়রের

৩ সপ্তাহ আগে
নেপালে আন্দোলনের মুখে কেপি শর্মা ওলির সরকার পতনের পরও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। এখনও চলছে ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও। এমপি-মন্ত্রীদের ঘরবাড়ি পোড়ানোর পর এবার একাধিক গণমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

এমন পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের সংযত থাকার ও দেশের সম্পদ ধ্বংস না করার আহ্বান জানিয়েছেন কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ।

 

এক বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের খুনি পদত্যাগ করেছে। [আমাদের] এখনই সংযত হওয়া দরকার। এখন তোমাদের প্রজন্মকে দেশ পরিচালনা করতে হবে। প্রস্তুত থাকো! এছাড়াও সেনাপ্রধানের সাথে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত থাকো।’

 

গত কয়েকদিন ধরে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ চললেও সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৯ বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পর আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

 

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পর পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র

 

কারফিউ উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফের রাজপথে নামে বিক্ষোভকারীরা। সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাসভবনসহ বিভিন্ন মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

 

এমনকি হামলা চালানো হয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা এবং নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের গভর্নরের বাসভবনেও। এছাড়া পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে সেখানে বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়। পরে বন্ধ করে দেয়া হয় বিমান চলাচলও।

 

এমন পরিস্থিতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান স্থানীয় নেতারা এবং দেশটির সেনাপ্রধান। তারই ধারাবাহিকতায় কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগের ঘোষণা করেন। এর মধ্যে নেপালি সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ভাইসেপতির বাসভবন থেকে মন্ত্রীদের সরিয়ে নেয়। 

 

আরও পড়ুন: নেপালের অর্থমন্ত্রীকে ধাওয়া, রাস্তায় ফেলে মারধর

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন