সরকারের দুর্নীতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় নেপালে শুরু হয় আন্দোলন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের এলাকাসহ কাঠমান্ডুর বিভিন্ন স্থানে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। আন্দোলন এতটাই জোরালো হয় যে, পরদিনই (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন কেপি শর্মা ওলি।
দেশটিতে আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ-নেপাল ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের ওপর। প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়ালেও আন্দোলনের জেরে দ্বিতীয় ম্যাচটি বাতিল করতে বাধ্য হয় অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ম্যাচটি বাতিল হওয়ায় আজই দেশে ফেরার কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের।
আরও পড়ুন: ১২ মিনিটের ঝড়ে সিঙ্গাপুরকে উড়িয়ে শেষটা রাঙালো বাংলাদেশ
কিন্তু নেপালে সংঘর্ষ এতটাই বেড়েছে যে, নিরাপত্তার কারণে টিম হোটেল থেকে বের হতে পারছেন না জামালরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন জামাল ভূঁইয়া। সেখানে দেখা গেছে, তাদের টিম হোটেলের পাশেই দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। আর জামাল বলছেন, এখানে আমরা সেইফ না।
আজ (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দেশে ফেরার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাওয়ায় দেশে ফেরার অপেক্ষা বাড়লো জামাল-তপুদের।
নেপালে বেশ কিছুদিন থেকেই রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনাসহ বেশকিছু দাবিতে আন্দোলন চলছিল। সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের ঘোষণা দিলে অবস্থার আরও অবনতি হয়। গতকাল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় দেশে ফিরতে পারছেন না জামালরা
এর আগে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে। এছাড়া পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে সেখানে বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছেন বলেও খবর পাওয়া যায়। পরে বন্ধ করে দেয়া হয় বিমান চলাচলও।
দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে হামজা-সমিতদের ছাড়াই নেপালে গেছে বাংলাদেশ দল। গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে জামালরা। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আজ।
]]>