নেত্রকোনায় শ্রমিক নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও

৪ দিন আগে
নেত্রকোনায় নাশকতা মামলায় গ্রেফতার হওয়া হোটেল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের গ্রেফতারের ঘটনায় থানা ঘেরাও করেছেন খেলাফত আন্দোলনের নেতাসহ শ্রমিক নেতাকর্মীরা।

আনোয়ার (৩৫) খেলাফত আন্দোলনের শ্রমিক নেতা হিসেবে দাবি করেছেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব গাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রুহী।

 

গত সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় শহরের কুড়পাড় এলাকা থেকে আনোয়ারকে গ্রেফতার করে মডেল থানার পুলিশ। এরপর থেকেই থানার গেইটে জড়ো হতে থাকেন খেলাফত আন্দোলনের নেতারা। ধীরে ধীরে হোটেল শ্রমিকরাও জড়ো হন। 

 

এদিকে থানা ঘেরাওয়ের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে থানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় পুলিশ। রাত এগারোটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানার বাইরে বিক্ষোভ চলছিল। বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দেন, আনোয়ারের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

 

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও  অনেকে আনোয়ারের নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানাচ্ছেন।

 

আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

 

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২২ মে নেত্রকোনা শহরের ছোট বাজার এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি চলাকালে রাস্তা বন্ধ করে বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রোববার রাতে মডেল থানায় মামলা করা হয়।

 

সদর উপজেলার আমলি কেশবপুর গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে তাতীদল নেতা মো. সুমন মিয়া (৩৯) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

মামলায় নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠন এবং নানা শ্রেণি-পেশার ২৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৮০০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

 

খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব গাজী মোহাম্মাদ আবদুর রহিম রুহী বলেন, খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের জেলা শাখা সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার মামলা দিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: নামের আগে ‘কৃষিবিদ’ লেখা নিয়ে আপত্তিসহ ৬ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন বাকৃবি শিক্ষার্থীদের

 

রুহিম রুহী আরও বলেন, আনোয়ার হোসেন আওয়ামী ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। আনোয়ার হোটেল শ্রমিক সংগঠনেরও সভাপতি। মে দিবসে শ্রমিকদের ছুটি নিয়ে এবং ডিসি অফিসে মে উদযাপন প্রস্তুতি সভায় সোচ্চার ছিলেন। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে মালিকরা। এই মামলা এবং গ্রেফতার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবীর প্রতিবন্ধকতা বলে আমি মনে করি।

 

আনোয়ারকে যদি দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া না হয়, তাহলে তারা বৃহৎ আন্দোলন কর্মসূচি হাতে নিতে বাধ্য হবেন বলেও হুশিয়ারি দেন। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, সুমন মিয়া নামের ইউনিয়ন তাঁতী দলের এক নেতা বাদী হয়ে থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন।

 

ওই মামলার ৯৩ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আনোয়ার হোসেনের মুক্তি দাবিতে খেলাফতের নেতা-কর্মীরা থানার সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন করলে  তাদেরকে বুঝিয়ে শান্ত করা হয়।

 

আরও পড়ুন: জামালপুরে বোরো ক্ষেতে ‘কারেন্ট পোকা’র আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন