সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজনৈতিক দল, পরিবহন খাতের নেতা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তিনি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে যানজট নিরসনের ঘোষণা দেন।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো:
*লাইসেন্সবিহীন কোনো গাড়ি পৌর শহরে প্রবেশ করতে পারবে না, নিয়ম ভাঙলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
* এক ব্যক্তির নামে একাধিক অটোরিকশার লাইসেন্স বাতিল করে একটি লাইসেন্স কার্যকর থাকবে।
* অটোরিকশাগুলোকে দুই রঙে ভাগ করে পালাক্রমে চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।
* সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
* ফুটপাত দখলমুক্ত করতে এক সপ্তাহ প্রচারণার পর আইন প্রয়োগ করা হবে।
* মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট ও প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
* ভাটিবাংলা পরিবহনের বাসগুলো নির্দিষ্ট স্থানে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং বাস টার্মিনাল সংস্কার করা হবে।
* পৌরসভার উদ্যোগে ড্রেনের পাটাতন ফুটপাত উপযোগী করা হবে।
* গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: গণ-অধিকার পরিষদের পল্টন মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ কামরুল হুদা, নেত্রকোনা আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার, পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম সরদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সজল কুমার সরকার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন ফারাস সেন্টুসহ অন্যরা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘যানজট নিরসনে কোনো তদবির গ্রহণযোগ্য হবে না। কঠোরভাবে নিয়ম প্রয়োগ করা হবে।’