নেত্রকোনা শহরের মধ্য নাগড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় প্রায় দেড়যুগ ধরে একটি সাইনবোর্ড টাঙানো। পাট অধিদফতরের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মুখ্য পরিদর্শকের এ কার্যালয়ের অফিস ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা পান বাড়ির মালিক।
তবে, এনিয়ে জানতে চাইলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এলাকাবাসী বলছেন, বছরের পর বছর কার্যালয়টি তালাবদ্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন দেখা নেই এ সরকারি কর্মকর্তার। কাজ ও জনবল না থাকায় সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে বলে মন্তব্য তাদের।
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি পুনঃউদ্ধারে নেত্রকোনায় পালানাটক মঞ্চস্থ
এবিষয়ে মুঠোফোনে মুখ্য পরিদর্শক সমীর চন্দ্র সওদাগর জানান, তিনি কিশোরগঞ্জে দায়িত্ব পালন করছেন। নেত্রকোনায় তার বাড়তি দায়িত্ব। অথচ সরকারি ওয়েবসাইটে কর্মকর্তাদের তালিকায় নেত্রকোনার অতিরিক্ত দায়িত্ব লেখা নেই। এমনকি, অফিসে না আসা নিয়ে দেখান নানা অজুহাত।
এদিকে ওয়েবসাইটে মিলল আরেক তথ্য। একইদিনে যোগদান নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জে। ২০২৪ সালের ১১ জুন লেখা দুটোতেই। একই তারিখে দুই জেলায় কর্মে যোগদান কেমন করে হয়, এ নিয়ে সবার মাঝেই কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সৈয়দ আনোয়ারুল হক ও গোলাপ মিয়াসহ আশপাশের লোকজন বলেন, ‘সারা বছর এমন তালা লাগানোই দেখি যাচ্ছি। এ অফিস তো দেড় যুগের মতো হবে এখানেই। আগে তাও মাঝে মধ্যে দেখা যেতো দুএকজনকে। এখন তাও দেখা যায় না। সরকারের অর্থ অপচয় ছাড়া কিছু না। দুই অফিস থাকলে দুই জেলার বেতন নেন নাকি এক জায়গার বেতন নেন এটা সরকার বলতে পারবে।’
এবিষয়ে জানেন না জেলা প্রশাসকও। তিনিও দিতে পারেননি কোনো সমাধান। তবে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেছেন, যদি দুই জেলার দায়িত্বে থেকেই থাকে, তাহলে তাকে সিডিউল মেইনটেইন করতে হবে। জানিয়ে দিতে হবে কোন দিন কোন জেলায় থাকবেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় ধান কাটার মৌসুমেই বোরো সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (খামারবাড়ি) উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, এ বছর নেত্রকোনায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪২ হাজার ২২০ বেল (এক বেল সমান ৪.৫ মণ)। গত বছর পাট আবাদ হয়েছিল ৪৫৬৯ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছিল ৪১৯৯৭ বেল।