এ দিকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুতের সিস্টেম সংস্কার এবং আরইবির শোষণ, নিপীড়ন এবং নিম্নমানের মালামাল থেকে মুক্তির (৪ দফা) দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এর ধারবাহিকতায় গত ৫ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কিন্তু যৌক্তিক এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় বেশ কয়েকজনকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। চারজনকে সাময়িক ও দুজনকে স্থায়ী বরখাস্ত করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে ৮০৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অনির্দিষ্টকালের ছুটির আবেদন দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে এখন বিপর্যয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন: ‘যদি শিডিউল কেনেন তাহলে ঠ্যাং ভেঙে বগুড়ায় পাঠিয়ে দেবো’
জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে বারহাট্টাসহ দুর্গাপুর ও পূর্বধলা এবং মোহনগঞ্জে গ্রাহকরা বেশি বিপাকে পড়েন। তারমধ্যে মৎস্য চাষিরা মারাত্মক লোকশানের মুখে পড়েন। যদিও ঠিকাদার দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা চালু রাখতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু জেলার এ সব উপজেলা ছাড়াও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর নেত্রকোনা সমিতির আওতায় থাকায় ওই দুই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নেত্রকোনার জেনারেল ম্যানেজার মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি না থাকায় তেমন সমস্যা হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: রোববার থেকে অনির্দিষ্টকাল গণছুটিতে যাওয়ার ঘোষণা পবিসের, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শঙ্কা
এ দিকে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
জানা গেছে, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন জেলার ১০ উপজেলা ছাড়াও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর হাওরাঞ্চলে গ্রাহক রয়েছেন সাড়ে ৬ লাখ। ২৬টি অভিযোগ কেন্দ্রসহ ২০টি সাব-স্টেশন ও ১২টি জোনাল অফিসের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দেয়া হয়।