নেত্রকোনার বাইপাস সড়কের কাজ শেষ হতে আর কত দেরি

৩ সপ্তাহ আগে
নেত্রকোনার বহুল প্রত্যাশিত বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। কিন্তু এখনও শেষ হয়নি কাজ। জনগণের প্রশ্ন—স্বপ্নের এ প্রকল্প শেষ হতে আর কত দেরি?

জানা গেছে, জেলার দশ উপজেলার মধ্যে সাতটিতে যেতে হয় শহরের একটি মাত্র সড়ক ব্যবহার করে। ফলে অটোরিকশা, ইজিবাইক ও ভারী যানবাহনের কারণে তৈরি হয় যানজট। জরুরি রোগীকে ঢাকা বা ময়মনসিংহে নিতে গিয়ে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছানো যায় না, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। তাই বাইপাস সড়কটি সময়ের দাবি হয়ে উঠেছিল।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা, ক্ষতিপূরণ না পাওয়া এবং ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) বারবার পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পটি বারবার বিলম্বিত হয়েছে। সড়ক নির্মাণের জন্য জমি দিলেও অনেকেই ক্ষতিপূরণ পাননি। কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, জমি দিয়ে ফসল হারিয়েও ক্ষতিপূরণ মেলেনি।

 

২০২০ সালে ২৯৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩ দশমিক ২০ কিলোমিটার বাইপাস সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর মধ্যে ১০৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৩ দশমিক ৪৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। সড়কে রয়েছে ৪টি ব্রিজ ও ২২টি কালভার্ট। প্রথমে কাজ পায় তাহের ব্রাদার্স (৬৫ কোটি) ও জামিল ইকবাল কনস্ট্রাকশন (৫৫ কোটি)। পরবর্তীতে রানা বিল্ডার্স ও মোস্তফা জামান নামের আরও দুটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়।

 

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০২২ সালে। কিন্তু অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। সড়কের রঙের বাজার এলাকার কাজ এখনও অর্ধেকেরও কম।

 

আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মৃত্যু

 

সওজ নেত্রকোনার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম মিত্র বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুতগতিতে কাজ চলছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে আমরা চেষ্টা করছি।’

 

সাবেক জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, ‘ডিপিপি পরিবর্তনের কারণে কিছুটা দেরি হয়েছিল। কৃষকদের জমির মূল্য পরিশোধের বিষয়টি সমাধানে আমি পদক্ষেপ নিয়েছিলাম।’

 

বর্তমান জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, ‘কোনো কৃষকের জমি ও ফসল হানি বৃথা যাবে না। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’

 

নেত্রকোনাবাসীর এখন একটাই প্রত্যাশা— আর যেন নতুন করে সময় না বাড়ে বরং দ্রুত ও টেকসইভাবে শেষ হোক স্বপ্নের বাইপাস সড়কটির নির্মাণ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন