নেতানিয়াহু আরব অঞ্চলকে ইসরাইলি প্রভাব বলয়ে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেন: কাতারের আমির

২ ঘন্টা আগে
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আরব ও মুসলিম দেশগুলোর একটি জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে কাতারের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে সম্মেলনে অংশ নেয়া দেশগুলো। এছাড়া গত সপ্তাহে কাতারের রাজধানীতে ইসরাইলের বোমা হামলার নিন্দাও জানানো হয়েছে। এদিকে, নেতানিয়াহু আরব অঞ্চলকে ইসরাইলি প্রভাব বলয়ে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেন বলে উদ্বোধনী ভাষণে বলেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

কাতারের আমির আরও বলেন, ‘আমার দেশের রাজধানীতে হামাস নেতাদের পরিবার এবং তাদের আলোচক প্রতিনিধিদলের বাসভবন লক্ষ্য করে এক বিশ্বাসঘাতক হামলা চালানো হয়েছে।’

 

এ সময় শেখ তামিম দাবি করেন, ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে আগ্রহী নয়, কারণ তারা আলোচনা ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে।

 

আরও পড়ুন:ইরানে হামলার আগে বাঙ্কারে গোপন বৈঠক করে ইসরাইল, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ

 

থানি বলেন, আপনি যদি জিম্মিদের মুক্তির জন্য জোর দিতে চান, তাহলে কেন সমস্ত আলোচকদের হত্যা করতে চাইবেন। আমরা কীভাবে আমাদের দেশে ইসরাইল থেকে আলোচক প্রতিনিধিদলকে আতিথ্য দিতে পারি যেখানে তারা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে বিমান হামলার জন্য ড্রোন এবং বিমান পাঠায়?

 

‘ ইসরাইল যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তার একগুঁয়েমি এবং জেদ অব্যাহত রেখেছে।’ বলেন  তিনি। 


এদিকে,  সোমবার আরব লীগ এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর মধ্যে অনুষ্ঠিত অসাধারণ যৌথ অধিবেশনে প্রায় ৬০টি সদস্য রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করে। নেতারা বলেছেন যে, ইসরাইলের আগ্রাসন বাড়ানোর প্রেক্ষিতে ঐক্যবদ্ধ বার্তা প্রদানের জন্য এই বৈঠকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

 

সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান বলেছেন,  ‘আমরা এমন এক সন্ত্রাসী মানসিকতার সাথে মোকাবিলা করছি যা বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাতের উপর প্রতিষ্ঠিত, যা একটি রাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান। এই মানসিকতা, যা প্রকাশ্যে জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করে এবং নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে, টিকে আছে কারণ এর অপরাধের শাস্তি পাওয়া যায় না।’

 

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সতর্ক করে বলেন, ইসরাইলের অনিয়ন্ত্রিত আচরণ সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। 


গত সপ্তাহে দোহায় হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। সেই সময় সেখানে হামলা চালায় ইসরাইল। তাদের লক্ষ্য ছিল হামাসের নেতাদের হত্যা করা। তবে হামলায় হামাসের নেতারা বেঁচে যান। যদিও হামাসের পাঁচ সদস্য ও কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন।

 

আরও পড়ুন:গাজা সিটিতে জাতিসংঘের ১০টি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরাইল

 

ইসরাইলের এই হামলার বিরুদ্ধে আরব ও মুসলিম দেশগুলোসহ বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। 

 

সূত্র: আল জাজিরা

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন