সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দায়ের করা এ মামলায় হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, মরদেহ পোড়ানো, ক্ষতিসাধন, চুরি ও জখমের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ মামলায় লতিফ ইমাম ও আসলাম শেখ নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত রাসেল মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব তেনাপচা ঝুটুমিস্ত্রি পাড়া গ্রামের আজাদ মোল্লার ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের কাভার্ডভ্যান চালক ছিলেন।
জানা গেছে, শুক্রবার (৫ আগস্ট) জুম্মার নামাজের পর ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে আগুন দেয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় নুরাল পাগলের ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুপক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়। হামলায় নিহত হয় নুরাল পাগলের ভক্ত রাসেল মোল্লা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় দুটি গাড়ি। এতে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে নুরাল পাগলের মরদেহটি কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
আরও পড়ুন: নুরাল পাগলার লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মসজিদের ইমামসহ গ্রেফতার ১৮
পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শুক্রবার রাতেই অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, ‘দুটি মামলায় যারা প্রকৃত অপরাধী তাদেরই চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’
এর আগে, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে নুরাল পাগলের দরবার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় নিরপরাধ কাউকে হয়রানি কিংবা গণগ্রেফতার করা হবে না। একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হাজার হাজার লোক অংশ নিতে পারে। কিন্তু যখন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অশান্ত হয়ে যায়, তখন সবার সম্পৃক্ততা থাকে না। তাই সবাইকে আসামি করা বা গ্রেফতার করা আইনসংগত নয়। যারা অশান্তির কারণ, যারা আইনশৃঙ্খলা ভেঙেছে কেবল তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।’