নুরাল পাগলার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা নিন্দনীয়: আখতার হোসেন

১ সপ্তাহে আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, কাবা ঘরের আদলে কবর তৈরি করলে সেটি বিচার আল্লাহ করবেন। কিন্তু সেটি ভেঙে এবং কবর থেকে ‘নুরাল পাগলা’র মরদেহ তুলে পিটিয়ে তারপর পুড়িয়ে ফেলা কোনোভাবেই ইসলাম সমর্থন করে না। এটি নিন্দাজনক ঘটনা।

শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

 

আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না। তবে আল্লাহ-রাসুলের পথ অনুসরণ করে রাজনৈতিক নেতাদের আল-আমীন বা সত্যবাদি হতে হবে।

 

দেশের মানুষ মক্কা বিজয়কে নিজের মধ্যে ধারণ করেছিলো বলেই ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ বিজয় হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: নুরাল পাগলের দরবারে হামলা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের দায়িত্বহীনতার পরিচয়: এনসিপি

 

জানা যায়, শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’র লাশ কবর থেকে তুলে কথিত ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র লোকজন পুড়িয়ে দিয়েছে। জুমার নামাজের পর বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা শরিয়ত পরিপন্থিভাবে দাফনের অভিযোগ তুলে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেন।

 

উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একদল লোকের এ হামলায় ১০–১২ জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পুলিশের দুটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত হয়ে মারা যান এক ব্যক্তি। এঘটনায় প্রায় ৩৫০০ মানুষের নামে মামলা হয়েছে।  

 

প্রসঙ্গত: গত ২৩ আগস্ট ভোরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ওই দিনই সন্ধ্যায় এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার ভক্ত-অনুরাগীদের অংশগ্রহণে দরবার শরিফের ভেতরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাত ১০টার দিকে তাকে মাটি থেকে প্রায় ১২ ফুট উঁচু স্থানে বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। পবিত্র কাবা শরিফের আদলে তার কবরের রঙ করা হয়। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৌহিদি জনতা। তাদের আন্দোলনের ফলে কবরের রঙ পরিবর্তন করা হয়। 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন