হাটবাজারের মোড়ে মোড়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে সোলার প্যানেলের খুঁটি, কিন্তু একটিতেও নেই বাতি। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নের গ্রামের প্রধান সড়ক, হাটবাজার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে রাত্রিকালীন চলাচলের সুবিধার জন্য স্থাপন করা হয় সোলার স্ট্রিট লাইট।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টিআর কাবিটা অর্থায়নের এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ৫০টি করে সোলার স্ট্রিট লাইট লাগানো হয়েছিল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ৬ মাসের মধ্যে নষ্ট হয়। আবারও কয়েকটি চুরিও হয়। খুঁটি থাকলেও বাতি না থাকায় অন্ধাকারের মধ্যেই চলতে হয় পথ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ / সড়কবাতি না জ্বলায় বাড়ছে অপরাধ!
সৈয়দপুর উপজেলার ৩ নম্বর বাঙালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, ‘বাতিগুলো ৬ মাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। কেউ দেখভাল না করায় খুঁটিও চুরি হয়ে গেছে অনেক জায়গায়। পুনরায় চালু হলে জনগণ উপকৃত হবে।’
স্ট্রিট সোলার বাতিগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস স্থানীয় সরকার বিভাগের। নীলফামারী জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. সাইদুর ইসলাম বলেন, ‘আমরা নতুন করে এগুলো সচল করার উদ্যোগ গ্রহণ করবো।’
জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, পুরো জেলায় ৬০টি ইউনিয়নে এসব সোলার লাইট বসানো হয়েছিল। স্থানীয়দের মতে, এগুলো ঠিকঠাকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরায় চালু করা গেলে গ্রামের মানুষ আবারও রাতে নিরাপদ চলাচলের সুবিধা পাবেন।
]]>