নীলফামারী শহরের সিসি ক্যামেরাগুলো গেল কোথায়?

২ সপ্তাহ আগে
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক নজরদারি, সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণ ও দুর্ঘটনার প্রকৃত তথ্য জোগাড় করতে ২০১৭ সালে পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা ও পৌর প্রশাসন ও শহরের ব্যবসায়ী মহলের সহযোগিতায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাগানো হয় ৬০ টি সিসি ক্যামেরা।

সেগুলোর অধিকাংশের এখন নাই কোনো অস্তিত্ব, দুই একটির দেখা মিললেও নষ্ট হয়ে গেছে। 


পুলিশের স্থানীয় বা জেলা কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি না হলেও স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ‘শহরের গুরুত্ব বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি টিভি ক্যামেরার প্রয়োজন আছে। আমরা সবার সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’


সৈয়দপুর শহরের ব্যস্ততম সড়কের সিসি টিভি লাগানো খুঁটিগুলোতে এখন শুধুই ঝুলানো তারের জঞ্জাল, ধুলা নোংরায় ভরা তারে মাকড়সা বেঁধেছে বাসা, আছে দু-একটি সিসি টিভির নষ্ট অংশ। এক কথায় নাই সিসি ক্যামেরার অস্তিত্ব।

 

সিসি টিভি লাগানো খুঁটিগুলোতে এখন শুধুই ঝুলানো তারের জঞ্জাল। ছবি: সময় সংবাদ


প্রায় তিন লাখ মানুষের ঘন জনবসতির ব্যস্ততম শিল্প ও ব্যবসা সমৃদ্ধ শহর সৈয়দপুর পৌরসভা। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের শহর হওয়ায় আইনশৃঙ্খলার কিছুটা অবনতি ও যানজটের চাপ সামলাতে ২০১৭ সালে উপজেলা, থানা ও পৌর প্রশাসন শহরের ব্যবসায়ী মহলের সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মোড়ে মোড়ে লাগানো হয়েছিল ৬০ টি সিসি টিভি ক্যামেরা। 


শহরটি সিসি টিভির আওতায় আনার পর শহরের আপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে কম হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শহরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। কিন্তু সিসি টিভি ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকায় ও ৫ই আগস্টের গণঅভ্যু্ত্থান পরবর্তী সময়ে শহরে সব ক্ষেত্রেই অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে ব্যবসায়ী মহল এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।


সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই আলম সিদ্দিকি ও সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা সব মহলে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি। দ্রুতই সবার সহযোগিতায় আবারও শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন