এ ঘটনায় পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ম মেনেই আয়োজন করা হয়েছিল বলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দাবি করছেন আদালত কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে কিছু পরীক্ষার্থী একজোট হয়ে পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে প্রবেশ করে এবং প্রশ্নফাঁস ও অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করে বলেও সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু পরীক্ষা আয়োজনের এ দাবি করে আদালত কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সিলেট আদালতে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুকে লাথি-কিল-ঘুষি
এ সময় তিনি বলেন, মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের পাঁচতলা ভবনের ৫০৪ ও ৫০৫ নম্বর রুম দুটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। এতে অনেক পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেননি। পরে জানা যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক ছুটিতে রয়েছেন। পরে অধ্যক্ষ ইটের তালা ভাঙতে বললে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো সহায়তা করেনি।
পরে ওই দুই রুমের পরীক্ষার্থীরা কক্ষে ঢুকতে না পেরে হট্টগোল শুরু করেন। মাঠে নেমে তারা কেন পরীক্ষা দিতে পারছেন না এজন্য আন্দোলন শুরু করেন। এসময় যারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত পূরণ করতে পারেননি এ কারণে যারা প্রবেশপত্র পায়নি তারাসহ ওই দুই রুমের ১৫০ জন পরীক্ষার্থী একজোট হয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করে।
তবে কলেজের অন্য ১২টি কক্ষে পরীক্ষা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ে।
আরও পড়ুন: ওকালতনামা না নিয়েই চিন্ময়ের পক্ষে আদালতে আইনজীবী, আবেদন খারিজ
দীর্ঘ সময় পরে নিয়োগ কমিটি উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে পরবর্তী তারিখ ঘোষণার কথা জানান। একই সাথে ওয়েবসাইটে নোটিশ দেয়া হয়।
পরে পরীক্ষার্থীদের আটজনের একটি প্রতিনিধি দল নিয়োগ কমিটির কাছে আসলে তাদের ৮ দফা দাবি পেশ করেন। তাদের একটি দাবি ছিল নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে আয়োজনের। যা এরইমধ্যে বাতিল করা হয়েছে।
]]>