শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৩) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তিনি।
নিহত সাম্যর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের সড়াতৈল গ্রামে। বাবা ফরহাদ সরদার ঢাকায় বসবাস করেন। সাম্য চার ভাইয়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন। তার মা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। পুরো পরিবার ঢাকাতেই বসবাস করলেও ঈদ বা বিশেষ কোনো উপলক্ষ্যে সাম্য ও তার ভাইয়েরা গ্রামের বাড়িতে আসতেন আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাতেন।
সাম্যর বড় চাচা কাউসার আলম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, রাত ১টার দিকে খবর পাই সাম্যকে খুন করা হয়েছে। আমরা এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না ও আর নেই। আমার ভাইয়ের চার ছেলের মধ্যে সাম্য ছিল সবচেয়ে ছোট, সবচেয়ে প্রাণবন্ত। জানি না কী অপরাধে আমার ভাতিজাকে হত্যা করা হলো। ওদের তো কোনো শত্রু ছিল না। পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যা: গ্রেফতার ৩ জন কারাগারে
তিনি আরও বলেন, এখন অনেকে ঢাকায় চলে গেছে জানাজা ও দাফনের কাজে। ঢাকায় জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। সড়াতৈল কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। আমরা চাই, যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
সাম্যর এই করুণ মৃত্যু শুধু তার পরিবার নয়, পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী সাম্য হত্যার বিচার চায়।
এ ঘটনায় পুরো দেশজুড়ে ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জোর দাবি- যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকারীরা শনাক্ত ও গ্রেফতার হয় এবং সাম্যের পরিবার ন্যায়বিচার পায়।