নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও সুন্দরবনে থামছে না অপরাধ

৩ সপ্তাহ আগে
সুন্দরবনকে বিশ্রাম দিয়ে প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা এবং মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রম সুরক্ষার জন্য প্রতিবছর তিন মাস বনভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকে। তবে নিষেধাজ্ঞার সময়ও বন ও অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ, বন্যপ্রাণী শিকার এবং এর দেহাংশ পাচারের ঘটনা এ বছরও ঘটছে। পাচারকারীরা এ কাজে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে সুন্দরবনের আশপাশের নদ-নদী ও ছোট খাল।

বন বিভাগ জানায়, গত তিন মাসে (জুন থেকে আগস্ট) সুন্দরবনে অবৈধ প্রবেশের দায়ে ১৮৮টি মামলায় ২০৭ জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে হরিণের মাংস, মাছ, নৌকা, ফাঁদসহ বিভিন্ন উপকরণ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে হরহামেশাই চলছে বনকেন্দ্রিক অপরাধ।

 

নিষেধাজ্ঞা শেষে বনে প্রবেশ উন্মুক্ত হলেও অপরাধ বাড়তে থাকায় বনজীবীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। তাই বনকেন্দ্রিক অপরাধ কমাতে পরিকল্পিতভাবে জেলেদের বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরি এবং পাচারকারীদের দ্রুত ও কঠোর বিচারের আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

 

সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বন আইনে হওয়া মামলার বিচারিক দীর্ঘসূত্রিতায় অনেক অপরাধী পার পেয়ে যায়। আবার অনেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন। ফলে তারা পুনরায় একই অপরাধে লিপ্ত হন। সুন্দরবন বাঁচাতে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সব পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’

 

আরও পড়ুন: পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার নিয়ে হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেয়া ৫ কুমিরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘বন্ধের সময়টিকে অভ্যাসগত অপরাধীরা সুযোগ হিসেবে নেয়। নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি বন বিভাগকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদের শনাক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে সাধারণ জেলেদের সহযোগিতা ও বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি।’

 

এদিকে অপরাধ কমাতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের কথা জানিয়েছেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আগের চেয়ে বনকর্মীরা এখন অনেক বেশি সক্রিয়। একেবারে অপরাধ শূন্য না হলেও ধীরে ধীরে এটি কমছে। সময়ের সাথে আরও কমবে বলে আশা করছি।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন