বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার কশবামাজাইল ইউনিয়নের নাদুরিয়া ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আসলাম মণ্ডল পাংশা উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের বিশই-সাওরাইল গ্রামের করিম মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কশবামাজাইল ইউনিয়নের নাদুরিয়া ঘাট থেকে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ পর্যন্ত গড়াই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম.এম. বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি স্যালো ইঞ্জিনচালিত জেনারেটরে ত্রুটি দেখা দিলে তা ঠিক করার জন্য সকালে ইঞ্জিন মিস্ত্রী আসলাম মণ্ডলকে আনা হয়। নির্মাণাধীন সেতুর পাশে নিচে বসে আসলাম মণ্ডল ইঞ্জিন মেরামতের কাজ করার সময় সেতুর ওপরে কর্মরত শ্রমিকদের হাত থেকে হঠাৎ একটি লোহার এঙ্গেল ছুটে এসে আসলামের মাথায় লাগে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ওই হাসপাতালে নেয়ার পরপরই মারা যান আসলাম।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ট্রাকচাপায় যুবক নিহত, আহত ২
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার বিজন কৃষ্ণ বলেন, ‘আমাদের ইঞ্জিন মেরামতের কাজগুলো সবসময় আসলাম মণ্ডল করেন। আজও তিনি নির্মাণাধীন সেতু থেকে অন্তত ৩০ ফুট দূরে বসে ইঞ্জিন মেরামতের কাজ করছিলেন। হঠাৎই সেতুর ওপরে কর্মরত শ্রমিকদের হাত থেকে লোহার আনুমানিক তিন ফুট লম্বা একটি এঙ্গেল ছুটে এসে আসলামের মাথায় লাগে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। তার আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট তাসফিয়া জেসমিন বলেন, ‘আসলাম মণ্ডলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সকাল ৯ টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। যে কারণে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।’
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘মাথায় অ্যাঙ্গেল পড়ে ইঞ্জিন মিস্ত্রীর মৃত্যুর খবর আমরা পাইনি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়েজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’