জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচরের চান্দেরচর বাজারের উত্তর পাশে ২০২৩ সালে ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। চলতি বছরের মে মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেন।
এতে কৃষিপণ্য পরিবহনে দুর্ভোগের শেষ নেই শিবচরের উমেদপুর, ভদ্রাসন ও কুতুবপুর ইউনিয়নের কৃষকদের। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও পড়ছেন ভোগান্তিতে। পাশাপাশি সেতুর পাশে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা অ্যাপ্রোচ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
আরও পড়ুন: কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তার সংকট চরমে, মাদারীপুরে ফসল উৎপাদন ব্যাহতের শঙ্কা
একাধিক সূত্র বলছে, ১৪ মাস আগে বন্ধ হওয়া সেতুটির কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। এই সেতুটি চালু হলে একদিকে এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে, অন্যদিকে শিবচর উপজেলায় না গিয়ে সরাসরি রাজধানী ঢাকায় সঙ্গে যাতায়াত করতে পারবেন তিনটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। অথচ, খালের উপর দাঁড়িয়ে আছে অসমাপ্ত সেতু। রডে ধরে গেছে মরিচা। ভোগান্তিতে বাসিন্দারা।
মো. নুরুজ্জামান নামে এক ভ্যানচালক বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে আমার ভোগান্তিতে আছি। বৃষ্টির দিনে কষ্টের শেষ নেই। সেতুটি দ্রুত নির্মাণ হলে আমাদের ভোগান্তি কমবে।’
শিবচরে ডিক্রিরচর গ্রামের বাসিন্দা মামুন ঢালী বলেন, ‘বৃষ্টি হলে অ্যাপ্রোচ সড়কে কাঁদা হয়ে যায়। তখন দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। সেতুটি কাজ বন্ধ থাকায় সবারই কষ্ট হচ্ছে। এটি তাড়াতাড়ি নির্মাণ হলে এখানকার কয়েক হাজার মানুষের উপকার হবে।’
আনোয়ার সরদার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বৃষ্টি হলে চান্দেরচর বাজারের সব পানি এখানে এসে জমা হয়। তখন রাস্তায় ভোগান্তি বেড়ে যায়। একইসঙ্গে ভ্যান ও ইজিবাইক উল্টে যাত্রীরা আহতও হয়। এই ভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি চাই।’
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ঝুঁকি নিয়েই চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এলজিইডি মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্তনীয়া জানান, ‘সেতুটির নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে শিগগিরই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে বিষয়টি চিঠি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। সেতুর পাশে জমি দাবি করা ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ দিতে ভূমি মন্ত্রনালয়েও বলা হয়েছে। শিগগিরই বিষয়টি আলোর মুখ দেখবে।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জুয়েল আহম্মেদ বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের আগে জমি অধিগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু কী কারণে তা হয়নি; সেটা জানা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেতুর কাজ চালিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই এর সমাধান হবে।’
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·