শুক্রবার (৬ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে দলের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ এবং মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এ বক্তব্য দেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রত্যাশিত বার্তা দিয়েছেন। যদিও আমাদের মতে, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হলে ভালো হতো; তবুও সময়সীমা ঘোষণাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। তবে শুধু তারিখ ঘোষণা করলেই একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হয় না। এর জন্য জরুরি হলো—নির্বাচনী পরিবেশকে পেশিশক্তিমুক্ত, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগসম্পন্ন করে তোলা।
একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে তিনটি মৌলিক শর্ত অপরিহার্য—
১. নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো।
২. ভোটাধিকার প্রয়োগে নিরাপদ ও সহনীয় পরিবেশ।
৩. রাজনৈতিক দলসমূহের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ।
তারা আরও বলেন, ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের যে অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্ত করেছেন, তার বাস্তবায়নের একমাত্র পথ হলো— জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা বজায় রাখা, নির্বাচন কমিশনের সাহসী ও স্বাধীন ভূমিকা রাখা এবং গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের অবাধ পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: বর্তমান কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম
নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সফল করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায় খেলাফত মজলিস:
১. ফ্যাসিবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রমে গ্রহণযোগ্য অগ্রগতি।
২. চলমান সংস্কার প্রক্রিয়াকে বেগবান ও কার্যকর করা।
৩. ‘জুলাই-সনদ’ যথাসময়ে প্রকাশ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
৪. রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ চালু রাখা।
৫. নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করা।
বিবৃতির শেষাংশে খেলাফত মজলিস নেতারা বলেন, আমরা আল্লাহ তায়ালার সাহায্য কামনা করি— দেশবাসী যেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনমতের প্রতিফলন প্রত্যক্ষ করতে পারে।