অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের পর হুইলচেয়ারে করে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পাসে আসেন মেঘমল্লার। তিনি ক্যাম্পাসে প্রচারণায় অংশ নেয়ার পাশাপাশি মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও যোগ দেন। এ সময় তিনি অনাবাসিক ছাত্রদের নির্বাচনে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
মেঘমল্লার বলেন, ‘আমি প্রতিরোধ পর্ষদের সহযোদ্ধাদের বলবো, ৯ তারিখে নির্বাচনের ফলাফল যাইহোক আমরা ইতোমধ্যেই জিতে গিয়েছি। জিতে গিয়েছি, কারণ যে বাংলাদেশে একটার পর একটা মাজার ভাঙা হয়, মৃতদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়া হয়, একটার পর একটা মব আক্রমণ হয়, মোরাল পুলিশিং হয়, তখন আমাদের উপস্থিতির কারণে প্রতিক্রিয়াশীলদের বলতে হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হল ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে। ধর্মকেন্দ্রিক বিভাজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলবে না বলেও বক্তব্য দিচ্ছে তারা।’
অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যাকে খুশি তাকে ভোট দিন, তবে প্লিজ ৯ তারিখে ভোট দিতে আসুন। আপনারা ভোট দিতে এলেই গোটা ইকুয়েশন বদলে যাবে। যে সমীকরণ করা হচ্ছে, তার কিছুই দাঁড়াবে না। এখানে স্বাধীনতাবিরোধীরা একটা পদেও জিতে আসতে পারবে না। আপনারা শুধু আপনাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন, ভোট দিয়ে যান।’
আরও পড়ুন: ডাকসুর জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসুর সফল অস্ত্রোপচার
নিজের অনুপস্থিতির মধ্যেও সহযোদ্ধাদের প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার ঘটনার সাধুবাদ জানিয়ে মেঘ বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমার সহযোদ্ধারা যে লড়াই করে গেছেন, মানুষের কাছে আমাদের প্রচারণা চালিয়ে গেছেন, সেই কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকেই আমি আজকে এখানে এসেছি। যদিও আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ না। আমার উপস্থিতি যদি আমার সহযোদ্ধাদের মনে এতটুকু লড়াইয়ের প্রেরণা জোগায়, তাহলে সেটিই আমার জন্য বিশাল প্রাপ্তি। সহযোদ্ধাদের মনে লড়াইয়ের বোধ যেন সঞ্চার করতে পারি সেই জায়গা থেকেই এই ঝুঁকিটি নেয়া।
সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রয়াত বুদ্ধিজীবী, লেখক, গবেষক বদরুদ্দিন উমরের স্মৃতি ও কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মেঘমল্লার বসু।