বিসিবি নির্বাচনে সাংগঠনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে বিসিবি সভাপতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক জেলা ও বিভাগে নিজেদের পছন্দমতো কাউন্সিলর মনোনীত করতে চান বলে অভিযোগ তুলেছেন তামিম-ইশরাকরা।
বিসিবি নির্বাচনে কাউন্সিলরদের নাম জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। পরে তা দুই দফা বাড়িয়ে কাউন্সিলরদের নাম জমা দেওয়ার শেষ সময় ধরা হয় আগামীকাল সন্ধ্যা ছয়টায়। শুধু বিসিবি সভাপতির ইচ্ছায় বারবার এভাবে দিন পেছানোকে বিসিবির গঠনতন্ত্রের লঙ্ঘন বলে দাবি করেছেন তামিমরা। কাউন্সিলর মনোনয়নকে প্রভাবিত করতে মন্ত্রণালয়, ও বিসিবির পক্ষ থেকে জেলা ও বিভাগীয় ক্রিকেটের সংশ্লিষ্টদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তামিম ও ইশরাকসহ বিএনপিপন্থী ক্রিকেট সংগঠকরা। তাদের অভিযোগের তীর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়াঁ, বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালকের দিকে।
বিসিবির নির্বাচনে সরকারের পক্ষ থেকে এমন হস্তক্ষেপ এলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। প্রথমে তারা আইনী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান ইশরাক। তবে প্রয়োজ়ন হলে বিসিবি ঘেরাওয়ের মতো কার্যক্রমও করতে পারেন বলে জানান এই নেতা।
আরও পড়ুন: বিসিবি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোটগ্রহণ ৬ অক্টোবর
এদিকে, বিসিবি নির্বাচনে অবৈধ হস্তক্ষেপ নিয়ে সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, 'আমার মনে হয়, এই নোংরামিটা করা দরকার নাই। ক্রিকেট সকলের জন্য, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠির না। নির্বাচন হবে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। এখানে কোনো পক্ষপাতি থাকবে না, সরকারের হস্তক্ষেপ থাকবে না, এটাই আমরা আশা করি। আমি আশা করব, যাদেরকে ১৭ তারিখ হিসেবে যাদেরকে কাউন্সিলর ঘোষণা করা হয়েছিল, এটা সেভাবে করেই থাকবে। নতুন করে কোনো কিছু পরিবর্তন করা হবে না।'
বিসিবির বর্তমান সভাপতি বুলবুলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তামিম বলেন, 'বুলবুল ভাই সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে তার কোনো ধারণাই নেই, তিনি কোনে কিছুই জানেন না। যদি কোনো কিছু না জেনে থাকেন, যে চিঠিটাতে তিনি নিজে স্বাক্ষর করে আগের কাউন্সিলরদের বাদ দিয়ে শুধু অ্যাডহক কমিটি থেকে অনুমোদন দেয়ার সুপারিশ করেছেন সেটা কিভাবে! আগের সব চিঠিতে সিইওর স্বাক্ষর থাকলেও এই চিঠিতে তিনি স্বাক্ষর করেছেন। গঠনতন্ত্র হিসেবে যতটুকু আমি জানি, নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার পরে উনি কোনো ধরনের চিঠিতে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। কিন্তু বাস্তবে বিভিন্ন চিঠিতে স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি তো বলছেন নির্বাচনের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এত বড় একটা চিঠিতে এতকিছু উল্লেখ করে যেহেতু পাঠিয়েছেন তাহলে তিনি নির্বাচনের ব্যাপারে অনেক কিছুই জানেন।'
]]>