শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠের মুক্তমঞ্চে গণঅভ্যুত্থানের জন আকাঙ্ক্ষা ও রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতায় এ দেশে অনেক কিংস পার্টি গড়ে উঠেছিল, আবার সেগুলো মিশেও গেছে। এই সরকার যে এনসিপিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, সেটি শুধুমাত্র গণ অধিকার পরিষদ নয়, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক মহল এবং নাগরিকদের মত। সরকার একটি দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ স্পষ্ট করেছে। তাই আমরা বারবার সরকারকে সতর্ক করছি। আমরা মনে করি সরকার যদি নিরপেক্ষ আচরণ করতে ব্যর্থ হয় -নির্বাচনের জন্য কিন্তু একটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হতে পারে।
মাইলস্টোনের ঘটনা এবং তার পরবর্তী ঘটনায় একটা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত দাবি করে নুর বলেন, মাইলস্টোনের ঘটনাকে পুঁজি করে পতিত স্বৈরাচারের দোসরেরা ঢাকার রাজপথে নানান ধরনের অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা করেছে। এরই অংশ হিসেবে তারা কিছু ছাত্রদেরকে উৎসাহিত করে সচিবালয়ের দিকে নিয়ে যায় এবং ছাত্রদের মধ্যে ঢুকে সচিবালয়ে ভাঙচুর করেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপিদের আনা শুল্কমুক্ত গাড়ির বিষয়ে যা জানালেন এনবিআর চেয়ারম্যান
‘এর মধ্য দিয়ে প্রশাসনের একটি দুর্বল চিত্র আমাদের সামনে পরিষ্কার হয়েছে। সচিবালয়ের মতো সুরক্ষিত ও স্পর্শকাতর জায়গার যদি সরকার নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে এই অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে ১৮ কোটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে’, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
টাউন হল মাঠের গণ অধিকার পরিষদের সমাবেশে কুমিল্লা জেলার সভাপতি মো. ফয়জুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। বিকেল চারটা থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। বৃষ্টি বিঘ্নিত জনসভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কুমিল্লার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
গণসমাবেশে নুরুল হক নুর কুমিল্লার পাঁচটি আসনে দলের মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেন।
]]>