রোববার (২৫ মে) বিকেলে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। তার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফ করিয়েছেন। এসব বেআইনি না হলেও দৃষ্টিকটু। এমন অভিযোগ কি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কেউ বলতে পারবেন? তিনি ক্ষমতায় থেকে এসব কিছুই করেননি। তিনি যে অনন্য এটাই তার প্রমাণ।
আরও পড়ুন: রাজনীতির আকাশে দুর্যোগ তৈরির পাঁয়তারা চলছে: জাহিদ
রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে ডিসেম্বর না জুন এসব কেন! ধোঁয়াশা কেন? বিএনপি স্পষ্টভাবে বলেছে, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চাই। একটা নির্দিষ্ট করে মাস বলুন। জনগণের ইচ্ছা প্রকাশের মূল হাতিয়ার গণতন্ত্র। সংস্কারের তো বেশি সময় লাগার কথা না। কাজ তো চলছে।
‘গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করবে দেশবাসী? এতদিনের মধ্যে তো হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা তো নেই। উপদেষ্টারা নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে, রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে যদি নির্বাচনে আসার মতো জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করে, তাহলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেবেই’, যোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বৈরাচার পালিয়েছে। আমরা আপনাকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে পেয়েছি। আমারা ধারাবাহিকভাবে আপসহীন ছিলাম বলেই হাসিনা পালিয়েছে। আমারা চাই না প্রধান উপদেষ্টা বিতর্কিত হন। ভারতকে তাদের স্বার্থ হাসিল করতে দিয়েছে বলেই হাসিনাকে ভারত জায়গা দিয়েছে। সে যেখানেই থাকুক তার বিচার হবেই।
আরও পড়ুন: নাতির বয়সি উপদেষ্টাদের দিয়ে অভিজ্ঞ সরকার হয় না: রিজভী
ছাত্র প্রতিনিধি থেকে উপদেষ্টাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, নাতি-নাতনিদের দিয়ে পরিবার চলে, সমাজ চলে না।
]]>