রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এমন মন্তব্য করেন ফখরুল। এ সময় তিনি আগামীকাল সোমবারের (৮ সেপ্টেম্বর) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি সভাস্থান ঘুরে দেখেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আগামীর নির্বাচনটি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও বিএনপি ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য একটি ইমোশনাল ইস্যু। বিএনপি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এটি একটি ভালো সংগঠন ছিল। কিন্তু এরশাদ সাহেব আসার পরে এই সংগঠনে ধস নামে। এতে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের মতো চাটার দল হওয়া যাবে না, নেতাকর্মীদের মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘সেই সময়ে আমরা এই সংগঠনের দায়িত্বে আসি। আমরা তিলে তিলে কাজ করি। সেই সংগঠন আজকে বড় রাজনৈতিক দলের পরিণত হয়েছে। গত ১৫ বছরে আমরা সম্মেলনের কথা ভাবতেও পারিনি। সে সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নির্যাতনের ফলে সম্মেলন করার সুযোগও সৃষ্টি হয়নি।’
আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন করে জেলে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘চরম নিষ্ঠুর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপিকে কাজ করতে হয়েছে। সেই ঠাকুরগাঁও বিএনপি আবার এখন উজ্জীবিত হয়েছে। সবকিছু অতিক্রম করে ইয়াং তরুণ ও পুরোনোদের সঙ্গে নিয়ে সোমবার অত্যন্ত সফল সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছিল: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সংগঠনের প্রাণ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেবেন। যেটা ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমি আশা করি ঠাকুরগাঁও বিএনপির জন্য নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করবে।’
এ সময় জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৭ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।