নিজের জুস পানে নিজেই বেহুঁশ অজ্ঞান পার্টির সদস্য ফুল মিয়া!

৪ সপ্তাহ আগে
পাশে বসা নারী যাত্রীর সঙ্গে কৌশলে আলাপচারিতা শুরু করেন। একপর্যায়ে যাত্রী মা-মেয়েকে জুস পান করতে অনুরোধ করেন। সরল মনে কোনো সন্দেহ না করে ওই জুস পান করেন তারা। তারা অজ্ঞান হলে খুলে নেন কানের দুল ও নাকের ফুল। শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা হলেন কৌশিলা ও বীথি। তারা দিনাজপুরের বিরামপুর স্টেশন থেকে সৈয়দপুরে আসছিলেন। পাশের ৭৭ নম্বর সিটের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টি চক্রের মূল হোতা ফুল মিয়া। এ সময় পাশের যাত্রী ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে হাতেনাতে অজ্ঞান পার্টির সদস্য ফুল মিয়াকে (৫৫) আটক করেন।

 

পরে যাত্রীরা তার কাছে থাকা জুস যাচাই করতে তাকে পান করালে তিনি অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন। পরে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ দুই ভুক্তভোগীসহ অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা তিনজনে এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

আরও পড়ুন: রাজধানীতে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে কাপড় ব্যবসায়ীর মৃত্যু

 

রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী কৌশিলা ও বীথিকে জুস পান করান ফুল মিয়া। এতে ভুক্তভোগীরা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেন। এ সময় পাশের যাত্রী আব্দুর রহিম (অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা) বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ফুল মিয়াকে আটক করে ওই বগির যাত্রীদের বিষয়টি অবগত করেন। আটক ওই প্রতারক বিষয়টি অস্বীকার করলে যাত্রীরা তার কাছে থাকা জুস তাকে পান করতে বাধ্য করেন। এতে ফুল মিয়া নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়লে সবার কাছে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক ট্রেনে দায়িত্বরত রেল পুলিশকে অবগত করে তাদের হাতে তুলে দেয়।

 

আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে অজ্ঞান করে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ

 

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী বলেন, অজ্ঞান পার্টির মূল হোতাসহ দুই নারী যাত্রীকে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কৌশিলা রায়ের ছেলে রবীন্দ্র নাথ রায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী ও আসামির জ্ঞান ফিরলে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন