৮০ শতাংশের বেশি সময় নিজেদের দখলে বল রেখে গোলের জন্য ২০টি শট নেয় বার্সেলোনা। তার মধ্যে কেবল চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। অন্যদিকে লেগানেসর ৬ শটের চারটিই ছিল লক্ষ্যে।
তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় লেগানেস। মুনির এল হাদ্দাদির শট ইনাকি পেনিয়ার বুকে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। সেই কর্নার থেকেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। অস্কার রদ্রিগেসের কর্নারে অরক্ষিত সের্হিও গনসালেসের হেড জড়ায় জালে।
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ম্যাচে ভিনিসিউসকে পাচ্ছে না রিয়াল
দশম মিনিটে নিজেদের প্রথম সুযোগ পায় বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার ক্রসে খুব কাছ থেকে গোলের জন্য শট নেন রবের্ত লেভানডোভস্কি। দারুণ রিফ্লেক্সে হাঁটু দিয়ে ঠেকিয়ে দেন লেগানেস গোলরক্ষক মার্কো দিমিত্রোভিচ।
সফরকারীদের প্রবল চাপে রেখে একের পর এক আক্রমণে রক্ষণের কঠিন পরীক্ষা নেয় বার্সেলোনা। বেশিরভাগ সময় এক অর্ধে ২১ জনের উপস্থিতিতে জায়গা বের করা খুব একটা সহজ ছিল না তাদের জন্য।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দুটি সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে ঠিক মতো শট নিতে পারেননি ওলমো। ষষ্ঠ মিনিটে একটুর জন্য ঠিকানা খুঁজে পাননি ইয়ামাল।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত হলেন উলভারহ্যাম্পটনের কোচ গ্যারি ও’নিল
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় বার্সেলোনা। ৫২তম মিনিটে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জুল কুন্দে। ছয় মিনিট পর লেভানডোভস্কির হেড যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। ৭৯তম মিনিটে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে তা হাতছাড়া করেন কুন্দে। ফেররান তোরেসের ফ্লিকে বল পেয়ে পোস্টের বাইরে মারেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বার্সেলোনাকে।
১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় আছে বার্সেলোনা। ১৭ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পেছনেই আছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
]]>