তাই, দুর্বলতা প্রকাশ করে তার সাহায্য প্রার্থনা করা ইবাদতের একটি বিশেষ দিক। নিচে একটি অনন্য দোয়া উল্লেখ করা হলো, যা আমাদের মনের আবেগ ও আত্মার আবদিয়াত প্রকাশের সেরা ভাষা হতে পারে।
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ ضَعِيْفٌ فَقَوِّ فِيْ رِضَاكَ ضُعْفِيْ ، وَخُذْ إِلَى الْخَيْرِ بِنَاصِيَتِىْ، وَاجْعَلِ الْإِسْلَامَ مُنْتَهٰى رِضَآئِـيْ، وَإِنِّيْ ذَلِيْلٌ فَأَعِزَّنِىْ، وَإِنِّيْ فَقِيْرٌ فَارْزُقْنِيْ .
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আমি দুর্বল। আপনার রেযামন্দির বিষয়ে শক্তিতে পরিণত করুন আমার দুর্বলতাকে। আমাকে ঝুটি ধরে কল্যাণের দিকে আকর্ষণ করুন। ইসলামকেই আমার পরম সন্তুষ্টির বিষয় করুন। আমি তো হীন, আমাকে মর্যাদা দিন। আমি তো ভিখারী, আমাকে রিযিক দিন।
আরও পড়ুন: সরকার পতনে সিরিয়ান লেখক ড. আব্দুল কারিম বাক্কারের আবেগঘন বক্তব্য
এ দোয়া আমাদের কেনো বেশি বেশি পড়া দরকার।
১. আবদিয়াত প্রকাশের শ্রেষ্ঠ ভাষা। এ দোয়া একজন বান্দার অন্তরের দুর্বলতা ও অসহায়ত্বকে সুন্দরভাবে আল্লাহর কাছে উপস্থাপন করে। ২. আল্লাহর ওপর পূর্ণ নির্ভরশীলতা। দোয়াটি আমাদের শেখায়, দুর্বলতা ও অভাবকে আল্লাহর দয়ার মাধ্যমে শক্তিতে ও সম্পদে রূপান্তরিত করার আবেদন জানাতে।
৩. ইসলামের প্রতি সন্তুষ্টি অর্জন: এতে ইসলামের প্রতি পরম সন্তুষ্টি ও তা আঁকড়ে ধরার প্রার্থনা রয়েছে। ৪. মর্যাদা ও রিযিক প্রার্থনা। মানব জীবনের মূল প্রয়োজনসমূহ—মর্যাদা এবং রিজিকের জন্য আল্লাহর কাছে সরাসরি আবেদন করার গুরুত্ব এতে তুলে ধরা হয়েছে।
এ দোয়াটি আমাদের জন্য দুর্বলতার মুহূর্তে এক অনন্য আশ্রয়স্থল। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলো আল্লাহর সামনে তুলে ধরতে পারি এবং তার দয়ার বারিধারায় সিক্ত হতে পারি। আল্লাহর কাছে দুর্বলতার স্বীকৃতি এক ধরনের আত্মসমর্পণ, যা তাঁর রহমত ও সাহায্য পাওয়ার মাধ্যম। আমরা যেন এই দোয়াটি নিয়মিত পড়ি এবং আমাদের অন্তরে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল বাড়িয়ে তুলি।
]]>