নিখোঁজের চার দিন পর শিশু সাদাবের মরদেহ মিলল পুকুরে

৪ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নিখোঁজের চারদিন পর মিলেছে পাঁচ বছর বয়সী শিশু সাদাব হোসেনের মরদেহ। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে মাত্র দেড়শ গজ দূরের কচুরিপানাভর্তি একটি পুকুর থেকে তার খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্বজনেরা জানায়, সৌদিপ্রবাসী আল আমিনের ছেলে সাদাব মায়ের সঙ্গে গফরগাঁওয়ের উপজেলার পাগলা থানার দীঘিরপাড় গ্রামে নানাবাড়িতে থাকত সে। গত ১১ জুলাই দুপুরে নিখোঁজ হয় সাদাব। শিশুটির নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তার নানা। এরইমধ্যে মুক্তিপণ চেয়ে পরিবারটির কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। 


মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে স্থানীয় এক ব্যক্তি পুকুরপাড়ে ঘাস কাটতে গিয়ে দুর্গন্ধের খোঁজ করতে গিয়ে শিশুটির মরদেহের শরীর খণ্ডিত অংশ দেখতে পান। পরে আশেপাশের জঙ্গলে দেহের আরও তিনটি অংশ পাওয়া যায়। পরে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বগুড়ায় ড্রেনের পাইপে পড়ে শিশু নিখোঁজ

এ ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড- এ নিয়ে সন্দিহান পরিবার। শিশুটির মামা খলিল মিয়া বলেন, ‘সকালে আমাদের বাড়ি থেকে দেড়শ গজ দূরে এক প্রতিবেশী পুকুর পাড়ে ঘাস কাটতে গিয়ে দুর্ঘন্ধের খোঁজ করতে গিয়ে ভাগ্নের লাশ দেখতে পায়। আমার ভাগনে পুকুরে পড়ে মরলো না কেউ তাকে মেরে ফেলে রাখলো বুঝতে পারছি না।’


নিহত সাদাবের মা সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমার একমাত্র নিষ্পাপ ছেলে কি অন্যায় করেছে। তাকে এভাবে অপহরণ করে দাবি করা টাকা নিয়ে গেল কিন্তু আমার ছেলেকে দিলো না। আমার বুক খালি করেছে। আমি আমার নিষ্পাপ ছেলে সাদাবের খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসি চাই।’


পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, ওই ঘটনায় মুক্তিপণ নেওয়া চক্রের সদস্যদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। প্রতারণার জন্য তারা টাকা নিয়েছিল। প্রতারক চক্রের বিষয়টি নজরদারিতে রাখছেন বলে জানান ওসি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন