বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজবাড়ী শহরের নতুন বাজার এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্কে রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বড় ব্যর্থতা রয়েছে। কনস্যুলেট অফিস সঠিকভাবে কমিউনিকেট করতে পারেনি কোন গেট দিয়ে রাজনৈতিক নেতারা বের হবেন। তারা ভেবেছিল মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভিভিআইপি গেট দিয়েই সবাই বের হবেন। কিন্তু এ জন্য যে কূটনৈতিক প্রোটোকল ও অনুমতি লাগে, তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কনস্যুলেট অফিসকে জানানো হয়নি কিংবা কনস্যুলেটই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে সরকারের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।’
আওয়ামী লীগকে ‘উগ্রবাদী ও জঙ্গিবাদী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে মোমিনুল আমিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। খুনি হাসিনা গত ১৬ বছর দেশে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল এবং তার নেতাকর্মীরা যে নৃশংসভাবে বিরোধী মত দমন করেছিল, নিউইয়র্কে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এভাবেই তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে।’
আরও পড়ুন: জুলাইযোদ্ধা আখতার হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদ
তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাজবাড়ী-২ আসন তথা পাংশা-কালুখালী-বালিয়াকান্দিতে গত ১০ বছর ধরে কাজ করছি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন একসঙ্গে নির্বাচন ও জাতীয় সরকার গঠনের। সেই হিসেবে আমরা আশাবাদী যে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে পারব।’
রাজবাড়ী-২ আসনের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মোমিনুল আমিন বলেন, ‘এখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। নির্বাচিত হলে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হাসপাতাল, প্রতিটি উপজেলায় আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করব। মৎস্যজীবী ও কৃষকদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাজারকেন্দ্রিক লিঙ্কেজ গড়ে তুলব। তরুণ সমাজের প্রত্যাশা সংসদে তুলে ধরব এবং রাজবাড়ী-২ আসনকে একটি মডেল আসন ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলব।’
এর আগে মোমিনুল আমিন গাড়িবহর নিয়ে ঢাকা থেকে রাজবাড়ীর নতুন বাজারে পৌঁছালে স্থানীয় নেতারা তাকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। এসময় এনডিএমের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
]]>