নির্বাচনের পর বুধবার (২৫ জুন) সকালে সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে মামদানি বলেন, ‘নেলসন ম্যান্ডেলার ভাষায় বলতে গেলে ‘যেকোনো কাজই সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সেটা সর্বদা অসম্ভব বলে মনে হয়। আমার বন্ধুরা, আমাদের প্রথম কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং তোমরাই এটি করেছ। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে তোমাদের ডেমোক্রেটিক মনোনীত প্রার্থী হতে পেরে আমি সম্মানিত।’
তবে মামদানির সামনে এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। মূল নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়তে হবে তাকে। তবে নিউইয়র্কের মতো উদারপন্থি শহরে সাধারণত ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থীই নির্বাচিত হন। তাই প্রাইমারির এই ফলাফলকেই অনেকেই চূড়ান্ত বলে ধরে নিচ্ছেন।
মামদানির জয়কে ‘আধুনিক নিউইয়র্ক রাজনীতির বড় চমক’ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। প্রাইমারি নির্বাচনের ভোটাভুটি হয় গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে। ফলাফলে দেখা গেছে, মামদানি ৪৩.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন যেখানে কুমো পেয়েছেন ৩৬.৪ শতাংশ ভোট।
আরও পড়ুন: ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫ নিয়ে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকৃতি ট্রাম্পের
নিউইয়র্কের কুইন্স, ব্রুকলিন ও ম্যানহাটনের বেশিরভাগ এলাকায় বড় জয় পেয়েছেন মামদানি। অন্যদিকে কুমো ব্রঙ্কস ও স্টেটেন আইল্যান্ডে জয় পেয়েছেন। প্রাইমারি নির্বাচনের আগে মামদানি তুলনামূলকভাবে অপরিচিতই ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর জাতীয় রাজনীতিতে উত্থানের সময় তিনি একজন স্ব-ঘোষিত ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
মামদানির গল্প মার্কিন কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের সঙ্গে মিলে যায়। কর্টেজ একজন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী যিনি ২০১৮ সালে নিউইয়র্ক কংগ্রেস নির্বাচনে আশ্চর্যজনক জয়ের মাধ্যমে মার্কিন রাজনীতিতে খ্যাতি অর্জন করেন।
মামদানির এই উত্থান দেশজুড়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী অন্য প্রগতিশীলদের আশা জাগাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, কুমোর পেছনে বিল ক্লিনটনের মতো প্রভাবশালীরা অর্থ ঢেলেও আশানুরূপ ফল পাননি। কিন্তু মামদানির জনপ্রিয়তা বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে তৃণমূল সমর্থনের জোয়ার সব পূর্বাভাসকে ম্লান করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফের তথ্য ফাঁস, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বললেন উইটকফ
]]>