বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার দাতমন্ডল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমীর আলী দাতমন্ডল গ্রামের রফিজ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকার কেরানিগঞ্জে সুজন মিয়ার মালিকানাধীন ব্যাগ কারখানায় কর্মরত অবস্থায় সাকিল নামে এক যুবকের সঙ্গে সুজনের বিরোধ হয়। সাকিলের হাতে সুজন লাঞ্ছিত ও পরে মারধরের শিকার হন। ঘটনার পর উভয়েই নিজ গ্রাম নাসিরনগরে ফিরে আসেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বুধবার বিকেলে গ্রামে শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
শালিস চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপের মাধ্যমে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় সুজনের পক্ষের সমর্থক আমীর আলী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৮১ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
আমীর আলীর মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত হয়ে প্রতিপক্ষ সাকিলপক্ষের জালাল উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় সুজনের সমর্থকরা। এসময় অন্তত ১৩টি গরু লুট, কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠে।
নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানভীর আহমেদ বলেন, ‘সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের হাঁটুতে ইটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।’
তিনি আরও জানান, এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
]]>