বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে বুধবার (১৫ অক্টোবর)রাত ৮টায় উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের রসুলপুর মোল্লাপাড়া এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হলে তাকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, নিহত আব্দুল বাতেন ওই এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে এবং পেশায় মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান মিয়ার বাবা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাতগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম ও তার ছোট ভাই হাসিবুল হক হাসান গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর মাদক ও সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে মসজিদে বক্তব্য দেন। এর পরপরই হাসান গ্রুপ ও শাহজাহান গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে এবং এলাকার আধিপত্য নিয়ে রেজাউল করিমের সাথে ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান মিয়ার বিরোধ চলছিল।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৮টায় গ্রামের ওয়াজ মাহফিল কোন জায়গায় হবে এ নিয়ে রেজাউল ও শাহজাহানের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রেজাউল করিম, তার ভাই হাসিবুল হাসান লোকজন নিয়ে শাহজাহানের লোকদের উপর হামলা করে। এতে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে আব্দুল বাতেনসহ ১০ জন আহত হন। পরে বাতেনকে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: গত আট মাসে প্রতিদিন গড়ে ১১ জনকে হত্যা
নিহত বাতেনের ছেলে শাহজাহান বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই করিমের লোকজন আমাদের উপর হামলা করেছে। এ হামলায় আমার বাবা গুরুতর আহত হয়ে মারা গেছেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার দেখতে চাই।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত এবং জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১ সপ্তাহে আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·