নারায়ণগঞ্জে ৪ কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা

১ সপ্তাহে আগে
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুইটি ওয়াশিং ও দুইটি বেকারি কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

একই সঙ্গে অবৈধ সংযোগ নেয়ার অপরাধে কারখানাগুলোর মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।


জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সিনিয়র সহকারী সচিব ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন ভুঁইগড় এলাকায় চারটি স্পটে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে এক হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল তিতাস


এসময় আনিকা ওয়াশিং প্ল্যান্ট, এন এস ওয়াশিং প্ল্যান্ট, সূচি প্রিমিয়াম বেকারী ও রাকি স্পেশাল চানাচুর ফ্যাক্টরি নামে চারটি কারখানার অবৈধ গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ প্রতিষ্ঠান মালিকদের আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জব্দ করা হয় বিপুল অবৈধ পাইপ, রাইজার, বার্নার, ওভেন, বয়লার ও ড্রায়ার।


পরে বিচ্ছিন্নকৃত সংযোগগুলো পুনরায় স্থাপন রোধে মূল বিতরণ সংযোগ স্থলগুলো স্থায়ীভাবে সিলগালা করে দেয়া হয়। অবৈধ সংযোগ বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।


অভিযান শেষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সিনিয়র সহকারী সচিব ফজলে ওয়াহিদ সময় সংবাদকে বলেন, ‘অবৈধ সংযোগ বন্ধে তিতাস কর্তৃপক্ষ তাদের মতো করে কাজ করছে। আর আমরা জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমাদের মতো করে কাজ করছি। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আপাতত দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দিয়েছে। আরও কয়েকজনকে নিয়োগ দেয়া হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। আমরা সম্মিলিতভাবে এটা বন্ধের চেষ্টা করব। আজকে আমরা চারটি কারখানার ৬ হাজার ৪৪৫ ঘনফুটে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছি। আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।’


অবৈধ সংযোগ বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও জনগণের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ জোনের উপ মহা ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মামুনুর রশিদ।

আরও পড়ুন: অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ২ চুন কারখানার গুঁড়িয়ে দিল তিতাস


সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘কোনো সংস্থার একার পক্ষে অবৈধ কাজ নির্মূল করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে জনগণকে সচেতন হতে হবে। আমাদের কাজে তাদের সহযোগিতা করতে হবে। আমরা সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে চলে যাই। পরবর্তীতে মানুষ পুনর্বাসন রায় অবৈধ সংযোগ নিচ্ছে। এতে রাষ্ট্রের সম্পদ অপচয় ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের সপদ রক্ষা করা জনগণেরও দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকে জনগণ অবৈধ সংযোগ নেয়া থেকে বিরত থাকলে রাষ্ট্রের সম্পদ অপচয় হবে না। তাই আমি বলব আগে জনগণকে সংশোধন ও সচেতন হতে হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন